যেসকল কারনে গাভীর ওলান প্রদাহ রোগ হয় ও তার চিকিৎসা

88

ঠুনকো রোগ, ওলান ফোলা, থান ফোলা, থানপাকা, পালান পাকা ইত্যাদি গাভীর ওলান প্রদাহ রোগের প্রচলিত নাম। বিভিন্ন প্রকার অণুজীব যেমন_ ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা এবং ছত্রাক গাভীর ওলান প্রদাহের সৃষ্টি করে। সাধারণত স্ট্রেপটোকক্কাই, স্টেফাইলোকক্কাই জাতীয় গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এটি সংগঠিত হয়। এ ছাড়া গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া, ই. কলাই, কবাইনি ব্যাকটেরিয়াম দ্বারা ওলান প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

গাভীর ওলান লালচে ও স্ফীত আকার হয় এবং পেছনের পা দুটি ছড়ানো অবস্থায় থাকে। দুধের রঙ হলুদ পুঁজের মতো দেখায় এবং পরবর্তী সময়ে রক্ত মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত রক্ত বের হতে থাকে। রোগের পরিপকস্ফ অবস্থায় বাঁটগুলো শক্ত হয় এবং দুধ বের হয় না। গাভীর শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায় ও ব্যথার কারণে গাভী শুতে পারে না। শেষ পর্যায়ে গাভীর বাঁটে পচন ধরে, বাঁট ঠাণ্ডা হয়ে যায়, পচে খসে পড়ে এবং মারাত্মক অবস্থায় পেঁৗছলে পশুর মৃত্যু হয়।

এর প্রতিকারে দুধ দোহনের আগে দোহনকারীর হাত ও ওলান জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। দুগ্ধবতী গাভীর ওলান যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। সেই সঙ্গে গাভীকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে। ওলানে দুধ জমে গেলে মিল্ক সাইফন নামক যন্ত্র দিয়ে দুধ বের করে দিতে হবে। ওলান শক্ত হয়ে গেলে কর্পূর গুঁড়া করে সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে বাঁটে ব্যবহার করলে গাভী সুস্থ হয়ে উঠবে।