কবুতর সর্বোচ্চ ৭ মাসের মধ্যে প্রথমবার ডিম দেয়।
কবুতর নরমালি দুইটি ডিম দেয় । একটি ডিম দেয়ার পরদিন গ্যাপ রেখে তার পরদিন বাঁকি ডিমটি দেয়।
প্রথম ডিম দেয়ার পর মা কবুতর ওই ডিমের উপর দাঁড়িয়ে থাকে, তা দেয়না। এতে আপনি বুঝবেন কবুতরটি দ্বিতীয় ডিম দিবে। যদি দেখেন প্রথম ডিমে প্রথম থেকেই তা দিচ্ছে তবে বুঝবেন কবুতর সেবার আর ২য় ডিম দিবেনা।
গড়ে কবুতরের একটি ডিম ১৪/১৫ গ্রাম ওজন হয়্।
১ দিন বয়সের কবুতরের বাচ্ছার ওজন গড়ে ১২/১৩ গ্রাম হয়।
ডিম দেয়ার পর নরমালি মা ও বাবা কবুতর পালাবদল করে ডিমে তা দেয়।
শুরুতে অনেক কবুতর একটা ডিম দিতে পারে।
মাঝে মাঝে কবুতর তিনটা ডিমও দিতে পারে! কিন্তু তিনটি ডিম দেয়া খুবই ব্যতিক্রম । এক্ষেত্রে তৃতীয় ডিমটা কিছুটা ছোট হয়।
কবুতরের ডিম ফোটে সাধারণত ১৮ দিনে।
আমরা অনেকেই মনে করি কবুতরের ডিমে হাত দিলে বাচ্চা হয়না। এটা ভুল ধারণা।
প্রথম ডিমটি ফোটার পরদিন দ্বিতীয় ডিমটি ফোটে।
সাধারণত কবুতরের বাচ্চা ডিমের একদম মাঝখান থেকে ভেইঙ্গে বের হয়।
টিপসঃ
অনুকূল পরিবেশ, ভাল খোপ ও খাবার পেলে অধিকাংশ জাতের কবুতর প্রতি 50 দিনের মধ্যে দুবার ডিম দেয়।
প্রথম ডিম দেয়ার পর কবুতর ওই ডিমের উপর দাঁড়িয়ে থাকে, তা দেয়না। এতে আপনি বুঝবেন কবুতরটি দ্বিতীয় ডিম দিবে। যদি দেখেন প্রথম ডিমে প্রথম থেকেই তা দিচ্ছে তবে বুঝবেন কবুতর সেবার আর ডিম দিবেনা।
ডিমে তা দেয়া শুরুর ৫/৬ দিন পর দুটো ডিম লাইটের আলোতে ধরে দেখবেন। যদি কোন ডিম না জমে তবে তা সরিয়ে ফেলবেন।
ডিমের নিচে সর্বদা শুকনো রাখবেন। ছাই,খড়কুটা অথবা নরম কাপড় অথবা সংবাদপত্র ডিমের নিচে দিতে পারেন।
অযথা ডিমে হাত দিবেন না, ঝাকাঝাকি করবেন না। ডিমে পরীক্ষা করার আগে অবশই হাত ভালভাবে ধুয়ে নিবেন।
আপনি চাইলে ১ সপ্তাহ ফ্রিজে ডিম রেখে দিয়ে অন্য কবুতর দ্বারা বাচ্চা ফুটাতে পারেন। এক্ষেত্রে ফ্রিজ থেকে বের করার পর ডিমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা আনার পর কবুতরের নীচে দিতে হবে। ডিম দেয়ার সাথে সাথেই ডিম সংরক্ষণ করতে হবে।
কবুতর ১৮ দিনের বেশি ডিমে তা দেয় না। তাই ডিম অদল বদলের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যে ডিমগুলো বদল করবেন তা১৮ দিনে বা তার আগেই যেন বাচ্চা ফোটে।
ডিমে যদি কবুতরের বিষ্ঠা লেগে যায় তবে তা কখনো উঠাতে যাবেন না, উপরের খোসা উঠে যেতে পারে।
ডিম ফোটার পর ডিমের খাসা সরিয়ে ফেলুন।
কবুতরের ডিমের খোসা মোটা করার উপায় হল মুরগির ডিমের খোসা গুঁড়ো করে নিয়মিত কবুতরকে খাওয়াবেন।