গরুর খামার ছোট থেকে বড় করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

15

১। গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য যাদের পর্যাপ্ত ঘাস নেই, বিকল্প উপায়ে ঘাস চাষ করে গরুকে খাওয়াতে হবে। ঘাসের জমি নেই তাদের গরু পালন করে লাভের মুখ দেখা কঠিন। বাড়ির আশে-পাশে পতিত জমিতে ঘাস লাগিয়ে দিতে হবে। সেই ঘাস গরুকে খাওয়ালে গরুর খাদ্য খরচ কমে আসবে।

২। যাদের ঘাস চাষের জন্য জমি নেই তারা স্কুল, কলেজ, সরকারি রাস্তা, গোরস্থান থেকে বিনামূল্যে ঘাস সংগ্রহ করতে পারবেন এমন সুবিধা থাকতে হবে।

৩। সময়মতো ওষুধ দিতে হবে। ঔষধ প্রয়োগ জ্ঞান অবশ্যই নিজেকে জানতে হবে, চর্চা করতে হবে এবং একাধিক ভাল পশু ডাক্তারের ঠিকানা ও ফোন রাখতে হবে। মানুষিক প্রস্তুতি থাকতে হবে, রোগে, বজ্রপাতে ও এক্সিডেন্টে যে কোন সময় পশু মারা যেতে পারে, প্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়, এবং সামলে ওঠা যায়।

৪। প্রথমে অন্য পেশার সাথে ছোট খামার করুন, নিজের পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে । উৎপাদন বাড়ানোর আগেই বিক্রির জন্য ক্রেতা ঠিক করুন, এবং বিকল্প পথ তৈরি রাখুন, যেমন দুগ্ধজাত পন্য- দই, ছানা, ঘি,মাখন উৎপাদনের টেনিং নিয়ে রাখুন। এগুলো আয়ত্ব করা কঠিন কোন কাজ নয়, বিপদে এগুলো খামরিকে বাঁচাবে।

৫। সবটুকু উপজাত সম্পদ কাজে লাগাতে হবে, যেমন গোবর দিয়ে গ্যাস, কেঁচো সার। কেঁচো সার শহরে এবং নার্সারিতে খুব ভাল দামে বিক্রি হয়, এটা বাড়তি আয়ের উৎস হতে পারে।

৬। কোন গুজবে কান দিয়ে ঝাঁপিয়ে পরবেন না, ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ধীরে ধীরে টেকসই উন্নয়নে পথই বেঁছে নিতে হবে।
৭। দালাল ও চালাক লোকদের এড়িয়ে চলুন, নিজের কাজ নিজে করুন।

সর্বশেষ এটাই বুঝতে হবে পুঁজি নয়, সঠিক জ্ঞানের চর্চা এবং সফল হওয়ার অদম্য ইচ্ছাই সফল খামারি হবার মূলমন্ত্র, পুঁজি না থাকলে একটা বর্গা গাভী দিয়ে শুরু করুন, তা না পেলে অন্যের খামারে কাজ করুন এবং শিখুন, এই শ্রম ও শিক্ষা নিয়ে নিজের খামার শুরু করুন।