গবাদিপশুর খাদ্যভ্যাসের কারনে যেসব রোগ হয়, তার লক্ষণ ও করণীয়

15

গবাদিপ্রাণির খাদ্য বলতে আমরা কাঁচা ঘাস, খড় ও দানাদার শ্রেণীর খাদ্যকে বুঝে থাকি। প্রাণিসম্পদের উৎপাদনের (দুধ, মাংস, ডিম ও বাচ্চা ইত্যাদি) সাথে সুষম খাদ্যে ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্য প্রাণীকে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন,ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে রেশন/খাবার তৈরি ও ব্যবস্থাপনা করা উচিত। প্রাণীর, বিশেষ করে গরুর খাদ্যভ্যাস, হজম, ও বিপাক-জনিত রোগ সমূহের জন্য মূলতঃ আমাদের অসচেতনা ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ না করাই দায়ী। আমরা এই রোগ সমূহ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আজ টিমপেনি কী, কারণ, লক্ষণ ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করব।

টিমপেনি কীঃ
গবাদিপ্রাণির খাদ্যভ্যাস ও হজম জনিত রোগ। ইহা সাধারণত গবাদিপ্রাণির রুমেন নামক পাকস্থলির অংশে হয়ে থাকে। এই রোগের বিভিন্ন কারণ ও লক্ষণ রয়েছে।

কারণঃ
১। খাদ্যনালীতে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য যেমন আলু, টমেটো, পলিথিন ইত্যাদির মাধ্যমে বাধা বা ব্লক সৃষ্টির কারণে।
২। গবাদিপ্রাণি স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় তার স্বাভাবিক ঢেকুর তুলতে না পারা।
৩। রুমেন বা খাদ্যনালির প্রদাহ।
৪। অ্যানাফাইল্যাক্সিস বা মাত্রাতিরিক্ত দানাশস্য গ্রহণ (গ্রেইন অভারলোড) জনিত কারণে রুমেনের নিঃসাড়তা।
৫। বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল কারণ।

লক্ষণঃ
১। হঠাৎ করে পেটের বাম পাশ বা উভয় পাশ ফুলে যায়।
২। আক্রান্ত প্রাণী অস্বস্তি বোধ করে, বার বার মাটিতে শুয়ে পড়ে এবং উঠে, ও মাঝে মাঝে পেটে লাথি মারে।
৩। ফেনা মুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
৪। শ্বাসকষ্ট হয় এবং জিহবা বের করে মুখ হা করে শ্বাস নেয় ও লালা নিঃসৃত হয়
৫। জাবর কাটা ও রুমেনের নড়াচড়া কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়।
রোগ নির্ণয়ঃ
১। খাদ্যের ইতিহাস।
২। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ।

আমাদের করণীয়ঃ
একটি খামারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে চাইলে সবগুলি বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই জাতীয় সমস্যায় বা রোগে প্রাণী আক্রান্ত হলে আমাদেরকে অবশ্যই অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের তত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত। আপনি চাইলে এই সমস্যায় বা রোগে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যে কোন সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা তাৎক্ষণিকভাবে ফোন করে গ্রহন করতে পারেন।