শীতকালে মাছের রোগ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতিতে যা করতে হবে তা তুলে ধরা হলো। এ সময়ে অর্থাৎ কার্তিক মাসে মাছ চাষে যেসব করণীয় সেগুলো মেনে চলতে হবে।
এ সময় পুকুরে আগাছা পরিস্কার, সম্পূরক খাবার ও সার প্রয়োগ করতে হবে। জাল টেনে মাছের স্বাস্থ পরীক্ষা করাও জরুরী। রোগ প্রতিরোধের জন্য একরপ্রতি ৪৫-৬০ কেজি চুন প্রয়োগ করতে পারেন।
অংশীদ্বারিত্বের জন্য যেখানে যৌথ মাছ চাষ সম্ভব নয় সেখানে খুব সহজে খাঁচায় বা প্যানে মাছ চাষ করতে পারেন। শীতে মাছের ক্ষতরোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ ও ফুলকা পচা রোগ হয়। এসব রোগ প্রতিরোধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হলো।
১. পুকুরের পরিবেশ ও পানির গুণাগুণ ঠিক রাখা; ২. জলজ আগাছামুক্ত রাখা; ৩. পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ার ব্যবস্থা করা; ৪. অনাকাক্সিক্ষত জলজ প্রাণী অপসারণ করা; ৫. অতিরিক্ত কাদা সরানো;
৬. দুই তিন বছর পর পর পুকুর শুকানো; ৭. নিয়মিত ও পরিমিত চুন প্রয়োগ করা; ৮. মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা; ৯. প্রাকৃতিক খাদ্যের উপস্থিতি পরীক্ষা করা; ১০. হররা টানা; ১১. পাখি বসতে না দেয়া; ১২. জাল শোধন করে ব্যবহার করা; ১৩. রোগাক্রান্ত মাছ অপসারণ করা;
১৪. সব সময় ঢেউয়ের ব্যবস্থা রাখা; ১৫. পানি কমে গেলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা; ১৬. ভাসমান খাদ্য প্রয়োগ করা; ১৭. পানি বেশি দূষিত হলে পানি পরিবর্তন করা; ১৮. পুকুরে বিভিন্ন স্থানে একটু গভীর বা গর্ত করা যাতে পানি কমে গেলে মাছ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
এছাড়া মাছ সংক্রান্ত যে কোন পরামর্শের জন্য উপজেলা মৎস অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। শীতকালে মাছের রোগ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতিতে যা করতে হবে সংবাদটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
পাঠক মাছ চাষ নিয়ে আপনাদের যে কোন সমস্যার কথা আমাদের জানাতে পারেন। আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসান্জারে এসএমএস করতে পারেন অথবা ইমেইলও করে জানাতে পারেন সমস্যার কথা। এছাড়া আপনাদের অভিজ্ঞতাও জানাতে পারেন আমাদের, আমরা তা তুলে ধরবো।