মাছের পরিমিত খাবার ব্যবস্থাপনা মাছ চাষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মাছচাষি পুকুরে মাছের খাবার নিয়ে দৃশ্চিন্তায় থাকেন। জানেন না পুকুরে খাবার আছে কি না! তাই পুকুরে মাছের পরিমিত খাবার আছে কি না জানা থাকলে সহযেই বাড়তি খরচ এড়িয়ে লাভবান হওয়া যায়।
১. সেকিডিস্ক দিয়ে কোন মাছের জন্য পানির রং কী রকম রাখতে হবে সেটা চিহ্নিত করা যায়। অর্থ্যাৎ পানির রং দেখে পুকুরে মাছের খাবার আছে কি না তা জানা যায়। সেকিডিস্ক টি পানিতে ২০ সে: মি: গভীরে প্রবেশ করানোর পরে যদি সাদা কালো দাগ গুলো ঝাপসা হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন প্রাকৃতিক খাবার এবং অক্সিজেন তৈরীর প্রয়োজনীয় ফাইটোপ্লাংক্টন ও জুওপ্লাংক্টন যথেষ্ট পরিমানে আছে।
আর যদি ২০ সে: মি: প্রবেশের পরও সাদা কালো দাগ স্পষ্ট দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে পুকুরে জৈব ও রাসায়নিক সার দেয়ার সময় হয়েছে।সম্পুরক খাবার কম দেওয়া হলে, তাহলে সেকিডিস্ক ১৫ সে: মিটারে প্রবেশ করালে সাদা কালো দাগ ঝাপসা হয়ে যাবে এমন ভাবে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করবেন।
২. মাঝেমধেই পুকুরে জাল টেনে মাছ ধরতে হবে। মাছের পেট দেখে খাবার আছে কি না তা নির্ণয় করা যায়। যদি খাবার না থাকে তাহলে বুঝতে হবে মাছে সম্পুরক খাবার দিতে হবে।
৩. পানির রং হালকা সবুজ বা সবুজ হলে বুঝতে হবে পানিতে প্রাকৃতিক খাবার প্রচুর রয়েছে। তখন বাড়তি খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা না করাই উত্তম।
৪. সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পানিতে কনুই পর্যন্ত ডুবিয়ে যদি উপর থেকে হাতের তালু দেখতে না পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে পুকুরে প্রাকৃৃতিক খাবার রয়েছে।
৫. পুকুরে খাবার কমে গেলে দুশ্চিন্তা না করে মৎস্য অফিসার ও মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। পুকুরের পানি পরিক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে পুকুরে কতটুকু খাবার রয়েছে।
পানির রং খুব বেশি সবুজ করার প্রয়োজন নেই। বেশি সবুজ করতে গিয়ে ব্লুম হতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ চাষে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করার ফলে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তারপরও মাছ চাষে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। চাষিদের জন্য পরামর্শ থাকবে অযথা সার প্রয়োগ না করে নিরাপদে মাছ চাষ করুন।