নাগেশ্বরীতে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন বা এলএসডি রোগ বাড়ছে। ৭ দিনে ৩০টি গরু মারা গেছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতি দিনই তারা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে ভিড় করছেন।
জানা গেছে, মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত গরুর গা হঠাৎ গরম হয়ে যায়। শরীরজুড়ে ছোট ছোট আঁচিলের মতো গুটি ওঠে। চামড়া উঠে ঘা হয়ে যায়। গরু খাওয়া ছেড়ে দেয়। চোখ দিয়ে পানি ঝরতে ঝরতে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। খুরা রোগের চেয়েও এটি বেশি ভয়ংকর।
সাধারণত গ্রীষ্মের শেষে ও বর্ষার শুরুতে এ রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এবার তার ব্যতিক্রম হলো। হঠাৎ করেই বাড়ি বাড়ি আক্রান্ত হচ্ছে গরু। পৌরসভাসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সাত দিনে উপজেলায় সাতটি ৩০টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে পৌরসভার চামটারপাড় গ্রামের আবুল হোসেন, তমেজ উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল, শামছুল হক, ভিতরবন্ধ ইউনিয়নের বাড়াবানার ভিটার আবুল হক, শাহাজুল, সরকারপাড়ার নুরুল ইসলাম, বশিয়ার রহমান, আব্দুস সালাম, তেলিপাড়ার নুরু মিয়া, রুহুল আমিন, আব্দুল মালেক, মোহসিন আলী, হাসনাবাদ ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার আমিন মিয়া, কৈয়াপাড়ার শিবু সরকার, মমিনপুর গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়া, কালীগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানন্দেরকুটি গ্রামের আব্দুল কাদের, সাহেবগঞ্জ গ্রামের জশমত আলী, বেরুবাড়ী ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের বাবু মিয়ার একটি করে ত্রিশটি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে গাভি ও বাছুরের সংখ্যা বেশি। এছাড়া বাড়িতে বা খামারে আরও অনেক আক্রান্ত।
পৌরসভার আব্দুল আউয়াল জানান, তাঁর তিনটি গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়েছে। একটি মারা গেছে। বাকিগুলোর চিকিৎসা করা হলেও বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। একই এলাকার তমিজ উদ্দিনেরও একটি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোও অসুস্থ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতিদিন অনেক কৃষক আসছেন। এ রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় পরামর্শ দিয়ে তাদের বিদায় করতে হচ্ছে। ঠান্ডা বাড়লে লাম্পি স্কিন বা এলএসডি রোগের প্রকোপ কমে আসবে আশা করা যাচ্ছে।