রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে হাইব্রিড ভুট্টার মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

361
SAMSUNG CAMERA PICTURES

[su_slider source=”media: 4226,4227,4228″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, রাঙ্গামাটি থেকে: উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে গত ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সুরি দাস পাড়া গ্রামে রাজস্ব খাতের আওতায় বাস্তবায়িত হাইব্রিড ভুট্টার (সুপার সাইন-২৭৬০) মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় কৃষক রাম কার্বারীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র (ডিএই) উপপরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিস’র আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান হাইব্রিড ভূট্টা চাষের বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, নানিয়াচরের পাহাড়ী সমতল ভূমি এলাকা সাধারণত আমন ধান কাটার পর পতিত পড়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এ এলাকায় ভুট্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। হাইব্রিড ভূট্টা চাষি ননারাম চাকমা অনুষ্ঠানে তার ভুট্টা চাষের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা বলেন, রবি মৌসুমে বোরো ধানের তুলনায় হাইব্রিড ভুট্টা চাষ অনেক বেশি লাভজনক। এতে সেচ কম লাগে, রোগ পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম এবং ফলন বেশি। তাছাড়া ভুট্টার পাতা গো-খাদ্য এবং গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আগামীতে আরো বেশি করে ভুট্টা চাষে এগিয়ে আসার জন্য তিনি কৃষকদের আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে রাম কার্বারী বলেন, এলাকায় হাইব্রিড ভুট্টার প্রদর্শনী স্থাপনের ফলে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। ভুট্টা চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখলে আগামীতে আরো অনেক পতিত জমি ভুট্টা চাষের আওতায় আসবে। ফলে এলাকার সাধারণ কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০ জন কৃষাণ-কৃষাণী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।