[su_slider source=”media: 4579,4580,4581,4582″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]
তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমের এক মাঠদিবস গত ৮ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটস্থ খালেআলমপুর আইএফএমসি কৃষক মাঠস্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্যানতত্ব বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ সাবিয়া সুলতানা। প্রধান অতিথি আইএফএমসি’র উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণে কৃষকের কর্ষ্টাজিত ফসলের একটি বিরাট অংশ নষ্ট হয়ে যায়। কীটনাশক ছাড়া এদের হাত থেকে কিভাবে এবং কি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন সে বিষয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া, যাতে করে কৃষকেরা সচ্ছলভাবে সুখি সমৃদ্ধ জীবন-যাপন করতে পারে। ফসল উৎপাদনের প্রধান অন্তরায়গুলোর মধ্যে ফসলের রোগবালাই ও পোকা-মাকড় হচ্ছে অন্যতম। কৃষকের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসলকে অনেকাংশে রক্ষার জন্য করণীয় সহায়ক প্রযুক্তিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে চাষিদের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করাই হচ্ছে আইএফএমসি’র কৃষক মাঠস্কুল উদ্দেশ্য। এসব কৃষক মাঠস্কুল থেকে কৃষকেরা কৃষির নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিজেরা নিজেদের সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি অন্যান্যদের সহযোগিতা করতে পারবে। সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় কৃষক মাঠস্কুলের অন্যান্য কার্যক্রম যেমন: পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টিমান বজায় রেখে শাক-সবজি রান্না ও পরিবেশন, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ডি. কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান। তিনি কৃষক মাঠ স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে পরিচালিত কৃষক মাঠস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ২৫টি পরিবারের ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণী। মাঠস্কুলে এ মৌসুমের মোট ৪৭টি সেশনে বোরো ফসলের জমি তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজতলা তৈরি ও বীজ বপন, চারা রোপণ, রোগ ও পোকা-মাকাড় সনাক্তকরণ, উপকারি পোকা সংরক্ষণ এসব বিষয়ে চাষিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা সহজেই নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণের পর সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। অনুষ্ঠানে এলাকার প্রায় দু’শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।