পাবনায় লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

349

এ.টি.এম. ফজলুল করিম, পাবনা প্রতিনিধি: জনপ্রিয় ফল লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধি,আবাদ সম্প্রসারণ, চাষিদের বাগান সৃজনে উদ্বুদ্ধকরণ ও পোকামাকড় দমন বিষয়ে এক মাঠদিবস ২৩ মে পাবনা সদরের জোয়াদহ গ্রামের লিচু চাষি আ. লতিফের লিচু বাগানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আ. লতিফের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. খয়ের উদ্দিন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. জাকিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কুন্তলা ঘোষ এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এ.টি.এম. ফজলুল করিম।

প্রধান অতিথি পাবনা জেলাকে লিচুর উৎপাদনের ভূমি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, লিচু লাভজনক ফল বিধায় এ জেলার সকল উপজেলায় সহ¯্রাধিক ছোট বড় লিচু বাগান গড়ে উঠেছে। একটু পরিশ্রম করলেই চাষিরা তাদের পতিত জমিতে লিচুর বাগান করে লাভবান হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় লিচু বাগানে কয়েক বছর সাথি ফসল চাষ করে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব।

লিচুচাষি লতিফ বলেন, আমি কয়েক বছর আগে বেকারত্বের অভিশাপে ভুগছিলাম, পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে লিচু চাষে অগ্রসর হই, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে লিচুর কচি শাখা ভেঙ্গে দিলে সেখান হতে ৮-১০টি শাখা বের হয় এবং প্রত্যেকটি শাখায় মুকুল আসে। বর্তমানে আমার বাগানে প্রতিটি গাছ হতে প্রায় ১৬ হাজার টাকা করে মোট ১২ লাখ টাকার লিচু পাবো। এ ছাড়া লিচু বাগানে সাথি ফসল হিসেবে পেয়ারা, বিটি বেগুনসহ অন্যান্য সবজি চাষ করে লক্ষাধিক টাকা পেয়েছি।

সভাপতি বলেন, লিচুর মাইট এবং ফেটে যাওয়া ছাড়া কোনো কঠিন রোগ নেই। এটি একটি লাভজনক ফসল, এর বাগান করে লাভবান হতে তিনি সবাইকে পরামর্শ দেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপসকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক কৃষক প্রতিনিধি আব্দুল আলিম,আইপিএম সভাপতি ইসমাইল হোসেন,আইপিএম কৃষাণি মুক্তি খাতুন প্রমুখ।

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা কৌশলের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতাধীন এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল উপজেলা কৃষি অফিস।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মারস২৪ডটকম/এম