ঘটনা-১
১ হাজার মুরগির মাঝে মাত্র ২-৩টি মুরগি ঝিমাচ্ছিল (অন্যগুলো সুস্থ) তাই মুরগিকে অসুস্থ ভেবে খামারী ভ্যাকসিন করে নাই। যার ফলশ্রুতিতে ফ্লকে গামবোরো দেখা দেয়। মারা যায় ৩৫টা মুরগি।
ঘটনা-২
মুরগি ঘরঘর শব্দ করতো তাই মুরগিকে অসুস্থ ভেবে খামারী ভ্যাকসিন করে নাই। যার ফলশ্রুতিতে ফ্লকে রানীক্ষেত দেখা দেয়। ৭০০+ সোনালি মারা যায়।
ঘটনা-৩
৫০০ মুরগির মাঝে কিছু মুরগি দুপুরের দিকে পাতলা পায়খানা করতো তাই মুরগিকে অসুস্থ ভেবে খামারী ভ্যাকসিন করে নাই। যার ফলশ্রুতিতে ফ্লকে গামবোরো দেখা দেয়।
ঘটনা-৪
মুরগি নাক ঝাড়তো তাই মুরগিকে অসুস্থ ভেবে খামারী ভ্যাকসিন করে নাই। যার ফলশ্রুতিতে ফ্লকে গামবোরো দেখা দেয়।
এই ঘটনাগুলোর সাথে অনেক খামারী কমবেশি পরিচত। ‘অসুস্থ মুরগিকে ভ্যাকসিন করা যাবে না।’ এমন একটা কথা আমরা সবাই জানি এবং সব ডাক্তাররা ফার্মারদের এই বিষয়টি বলে থাকেন। কিন্তু ইদানিং এই কথাটির ব্যাপকভাবে ভুল প্রয়োগ হচ্ছে। এমন অনেক ক্ষেত্রে ফার্মাররা মুরগিকে অসুস্থ ভেবে ভ্যাকসিন করা থেকে বিরত থাকছেন যে সমস্যাগুলোতেও ভ্যাকসিন করা যায়, বা করলেও তেমন কোন সমস্যা হবে না। ফলে দেখা যাচ্ছে মুরগিকে অসুস্থ ভেবে ভ্যাকসিন না করার ফলে পরবর্তীতে গামবোরো বা রানীক্ষেত রোগ দেখা দিচ্ছে।
তাই ভ্যাকসিন করার সময়ে যদি মনে করেন আপনার মুরগি অসুস্থ তবে নিজে নিজে ভ্যাকসিন না করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে আপনার খামারের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। ডাক্তার যদি মনে করেন ফার্মে বিদ্যমান সমস্যাতেও ভ্যাকসিন করা যাবে তবে ভ্যাকসিন করুন আর যদি তিনি মনে করেন ফার্মে বিদ্যমান সমস্যাতে ভ্যাকসিন করা যাবে না তবে ভ্যাকসিন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভবনা শতভাগ। সূত্র: ফেসবুক
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম