জনসংখ্য বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে এসেছে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্ন। আমাদের ভাবতে হবে কি নেই আমাদের । আমরা যদি আমাদের আমদানি সামগ্রী কমাতে পারি দেশেই উৎপন্ন করি খাদ্য তাহলে আমাদের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করতে খুব বেশি সময় লাগবে না । আমাদের দেশের এক কোটির বেশি মানুষ ভূমিহীন । এর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে । কর্মসংস্থানের অভাবে বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে ।
এই জনশক্তিকে কৃষিকাজে ফল ফসল ও পশুপাখি পালনে উৎসাহিত করা যেতে পারে । তবে এ জন্য কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে । তাহলে আমরা পুষ্টি ঘাটতি কমাতে ও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে । আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকারে গরু আসা বন্ধ হয়েছে । এতে করে মাংসের দাম বাড়লেও কিছু সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে । বোর্ডার দ্বারা সংক্রামিত রোগ বালাই হ্রাস পাবে । যার ফলে দেশে বেশি বেশি গরুর খামার গড়ে তোলা যাবে । কয়েক মাস আগে এফএমডি যা ক্ষুরারোগ নামক রোগটি হাজার হাজার গরু মেরে ফেলল যা আমাদের প্রতিবেশি দেশ থেকে গরু আনার অভিশাপ । কেননা ভারত ক্ষুরারোগ এখন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়নি ।
আমরা যদি আমদানি বদ্ধ রেখে আমাদের দেশে গবাদি পশুতে নিয়মিত ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান করি তাহলে এরোগ আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে । পশ্চিমা দেশগুলো আজ মাংস রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে । আমাদের পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, পাকিস্তান ও বিশ্ব বাজারে মাংস রপ্তানিতে সফলতা আছে ।
মাংসের ব্যবসা লাভজনক হওয়ার পাকিস্তানের তারকা খোলোয়াড় ইঞ্জমামুল একজন সফল মাংস ব্যবসায়ী । আমরা কেন পারব না । আমরাও পারি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করতে । শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের দিনগুলোতে যে পরিমাণ মাংসের প্রয়োজন তাও আমাদের ঘাটতি আছে । আর সারা বছর জুড়ে তো মাংসের চাহিদা থাকছেই । তাই এখনি সময় কাজ শুরু করার । কেননা এই সম্ভাবনাময় ক্ষাতে সরকারি বেসরকারি বিনিয়গের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে ।
আর্থসামাজিক উন্নয়ন দেশে বেকারত্ব ঘুচানো এবং পুষ্টি চাহিদা পুরন করতে কৃষিখাতের উন্নতির বিকল্প কৃষিখাতেই । তাই সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক পারিবারিক, ব্যক্তিগতভাবে এজন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম