রাঙামাটিতে আগর গাছে মোড়ক, দুশ্চিতায় চাষিরা

317

Rangamati-agor
প্রান্ত রনি, রাঙামাটি থেকে: কাপ্তাই আগর চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে। কাপ্তাইয়ের কামাইল্যাছড়ি, ব্যাঙছড়ি এবং শুকনাছড়িতে প্রায় ৪২৫ জন আগর চাষি ২০০ হেক্টর বন বিভাগের জমিতে বন বিভাগের সাথে অংশীদারিত্ব শর্তে আগর বনায়ন করেন।

সরেজমিন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শতকরা ৬০ ভাগ বাগানের গাছ মরে গেছে। বাকি যেটুকু আছে সেটুকু নষ্টের পথে।

কাপ্তাই আগর সমিতির সভাপতি এবং কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান কাপ্তাই রেঞ্জসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল এবং কাপ্তাই আগর সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমেদ জানান, ২০০৭ -০৮ সাল থেকে বন বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের শর্তে এই অঞ্চলের আগর চাষিরা লাভের আশায় আগর বাগান সৃজন করেন। দুঃখের বিষয় হলো সাত বছর পরে আগর গাছে পেরেক মারার কথা থাকলেও আজ অবধি বন বিভাগের পক্ষ হতে পেরেক মারা এবং প্রযুক্তিগত কোনো সহায়তা পাওয়া যায় নাই।

তারা জানান, আগর চাষিরা নিজেদের উদ্যোগে গত ১৮ জুন চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বন রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আগর বিশেষজ্ঞ ড. মো. জাকির হোসেনকে নিয়ে এসে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদে আগর চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ড. জাকির হোসেন আগর বাগান পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন যে আগর গাছে মড়ক লেগেছে এবং তিনি গাছে পেরেক মারার পরামর্শ দেন। তার সাথে কামাইল্যাছড়ি বিট অফিসার আব্দুল ওয়াবও ছিলেন।

এই বিষয়ে কাপ্তাই রেঞ্জের কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামকে চাষিদের পক্ষ হতে অবগত করা হলে তিনি পরবর্তীতে দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নিয়ে সম্ভাব্য করণীয় যা করার আশ্বাস দিলেও এখনোও পর্যন্ত আগর বাগান রক্ষায় বন বিভাগের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় নাই।

এই বিষয়ে কাপ্তাই দক্ষিণ বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা সামশুল মুহিত চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে বনবিভাগ সবসময় চাষিদের পাশে থাকবে এবং সবধরনের সাহায্য সহোযোগিতা প্রদান করবে। কাপ্তাইয়ের আগর চাষিরা আগর বাগান বাঁচাতে বন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম