খামারিরা প্রতি কেজি দুধ ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি করলেও গ্রাহক পর্যায়ে এসে তার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে ১০০ টাকায়ও তা বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রি নীতিমালা না থাকায় একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারিরা অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এখনই দুধের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ না করলে খামার গুটিয়ে ফেলতে হবে।
এমন শঙ্কার কথা জানালেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইমরান হোসেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বলেন, প্রতিবছর পশু খাদ্যের দাম বাড়লেও প্রায় এক যুগ ধরে কোনো পরিবর্তন আসেনি খামারিদের উৎপাদিত দুধের বিক্রি মূল্যে। এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৫৩০ টাকায়। যে কারণে মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। খামারিদের গরু বিক্রি কমে যাচ্ছে। যাতে করে এই শিল্পটি হুমকির মুখে পড়ছে। অন্যদিকে, বিদেশ থেকে নিম্নমানের গরু আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি সিন্ডিকেট প্রতি বছর গো-খাদ্যের দাম বাড়াচ্ছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করতে পারছে না। ফলে মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইমরান বলেন, কম দামে বিদেশ থেকে গরু আসায় মাংস ব্যবসায়ীরা দেশীয় খামার থেকে গরু কিনতে অনীহা প্রকাশ করছে। ফলে একটি শিল্প আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পটিকে বাঁচাতে গরু আমদানি বন্ধ ও পশু খাদ্যের দাম কমানো উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বেশ কয়েকটি দাবি তোলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, বিদেশ থেকে মাংস আমদানির উদ্যোগ বন্ধ করা। গুড়া দুধ আমদানি কমিয়ে দেশে গুড়া দুধ তৈরি নিশ্চিত করা। দুধের ন্যায্য মূল্য ও বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করা। দুগ্ধ ও মাংস শিল্পকে কৃষি বিদ্যুতের আওতায় আনা।
গো-খাদ্যের মূল্য কমানো। দুগ্ধ শিল্পে খামারিদের ভুর্তকি প্রদান এবং সুদমুক্ত দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদান করা। প্রয়োজন অনুযায়ী পশু হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার নিয়োগ। দুধ এবং মাংস শিল্প রক্ষায় উন্নত জাতের গরু উৎপাদন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মালিক উমর, আলী আজম রহমান শীবলু, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরানসহ অনেকে। সূত্র: আরটিভি অনলাইন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম