মেহেরপুর: জেলায় এ বছর যেমন করলার ব্যাপক চাষ হয়েছে তেমন হয়েছে ফলন। দাম ভালো থাকায় সাধারণ কৃষকদের মাঝেও চাষে আগ্রহ বেড়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন করলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ মৌসুমে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে করলার চাষ করা হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে করলা চাষ করতে যেমন খরচ হচ্ছে কুড়ি হাজার টাকা। ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা হচ্ছে।
সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের করলা চাষি আল আমীন হোসেন বলেন, গত বছর ২০ শতক জমিতে করলা চাষ করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষাধিক টাকা আয় করেছি। এ বছরও জমি বাড়িয়ে ৪৫ শতক জমিতে চাষ করে ভালো টাকা পাচ্ছি। এ বছরও ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি এবং প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে করলার পাশাপাশি বেগুন ও শিম চাষ করেছেন তিনি।
মেহেরপুর আমঝুপি, কুতুবপুর, ঝাউবাড়িয়া, রঘুনাথপুর, পিরোজপুর, ফতেপুর, গোভিপুরসহ বিভিন্ন মাঠে করলা চাষ হচ্ছে।
মাত্র দেড় মাসে ফসল বিক্রি করতে পারায় তারা খুবই খুশি। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত এ করলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। কৃষকরা জানান, এখন আমাদের দেখাদেখিতে এলাকার অনেকে করলা চাষ করছেন।
আমঝুপি ইউনিয়নের করল্লা চাষি রফিকুল আলম জানান তিনি দুইবিঘা জমিতে করল্লা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকার বেচা কেনা হয়েছে। বর্তমান বাজারদর থাকলে আরও লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনার আশা করছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। উন্নতমানের হাইব্রিড জাতের করলা জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ ট্রাক করলা ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়াসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত হচ্ছে।
প্রতিবছরই করলা চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।সূত্র: বাসস
কৃষিবিষয়ক পত্রিকা ও অনলাইন সম্পাদকদের সঙ্গে আহ্কাব এর মতবিনিময়
নাটোরে জাপানের জাতীয় ফল ‘পার্সিমন’
খুলনা অঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে কাঁকড়া চাষ
যশোরে মৎস্যখাতে বার্ষিক আয় প্রায় ৩২ লাখ মার্কিন ডলার
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম