কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা থেকে: কৃষিক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দিনে দিনে বাড়ছে। এ জন্য কৃষির নতুন পদ্ধতি শুধু পুরুষদের শেখালে চলবে না। নারীদেরও তা শেখাতে হবে। তাহলেই পুরুষ-নারীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষিক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন ঘটবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কৃষাণি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে কৃষাণি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালা চলবে।
কর্মশালায় ৪০ জন কৃষাণী অংশ নেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব কৃষাণীদের হাতে-কলমে সবজি চারা উৎপাদনের সঠিক নিয়ম-কানুন শেখানো হবে। সার্বিক সহযোগিতা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আয়োজকরা জানান, এখন চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের সবজি-চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন। এজন্য নারীদের ভাল চারা উৎপাদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া খুবই জরুরি।
বুধবার কর্মশালার নারীদের পলিনেট ঘরে চারা তৈরি এবং কৃষাণী পদ্ধতিতে ভালমানের চারা উৎপাদনের পদ্ধতি শেখানো হয়। কৃষাণীদের মাঠে নিয়ে পলি নেট দিয়ে ঘেরা চারা ও বাইরে উৎপাদন করার চারার পার্থক্য দেখানো হয়।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষাণী মুক্তা থাতুন বলেন, পলিনেট দিয়ে ঘেরা চারা তরতাজা। বাইরের চারা অতোটা সতেজ নয়। তাছাড়া পলিনেট ঘেরা চারাতে কোনোক্রমেই পোকার আক্রমণ হবে না। পলিনেটে চারার গুণগত মান ভাল হবে।
ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ (এভিপিআই) প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ দেন আইএফডিসির ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আলমগীর রশিদ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম