মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি থেকে: ঝালকাঠিতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার মিশ্র চাষ। নারকেল বাগানে বেড়ে ওঠছে নানা রকম সবজি আর ফল। কান্দির এ বাগানে আছে মাছও।
ভিয়েতনামের খাটো জাতের সিয়াম ব্লু নারিকেল বাগান উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের কবল থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এই মিশ্র চাষের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশাইন খান গ্রামের মাহাফুজুর রহমান তিন একর জমিতে গড়ে তুলেছেন একটি মিশ্র খামার। ছয় মাস আগে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ভিয়েতনামের খাটো জাতের সিয়াম ব্লু ১৮০টি নারিকেল গাছের চারা কিনে রোপন করেন তিনি। বন্যা ও ঝড়ো হাওয়ায় এই নারিক গাছের কোন ক্ষতি হবে না।
চারা রোপণের তিন বছরের মধ্যে ছোট অবস্থাতেই গাছে নারিকেল পাওয়া যাবে। কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে নারিকেল গাছের পাশাপাশি চাষ করছেন সাথী ফসল মাল্টা, লাউ, করল্লা, শসা, দুন্দল, আমড়া ও পেয়ারা। আর এসব ফসলের কান্দিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অভায়রণ্য। লাউ, করল্লা, দুন্দল ও শসা বিক্রি করে এ খামার থেকে ইতোমধ্যেই প্রতি সপ্তাহেই আয় হচ্ছে ১০ হাজারেরও বেশি টাকা।
এমনটাই জানান মো. ওমর আলী শেখ উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল আঞ্চল, শেখ আবু বকর ছিদ্দিক উপপরিচালক কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝালকাঠি ও উদ্যোক্তা মাহাফুজুর রহমান।
গত (৩০ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফরিদা জাহানের নেতৃতে কৃষি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনুকরণীয় এই খামারটি পরিদর্শন করতে আসেন। এসময় তিনি খামার দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে এ মিশ্র চাষে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য ব্যপক সম্ভাবনার কথাও জানান।
এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়েরর কবল থেকে গাছ ও নারিকেল রক্ষায় ঝালকাঠিতে ভিয়েতনামের খাটো জাতের সিয়াম ব্লু নারিকেল গাছের সাথে এ মিশ্র চাষ কৃষি সাফল্যে নতুন সম্ভাবনা। আর তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ঝালকাঠি এই কৃষি উদ্যোক্তা মাহাফুজুর রহমান। তার এ উদ্যোগ জেলায় কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস