কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে, অতিরিক্ত পরিচালকের সভাকক্ষে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৭ এর উদ্বোধন ও ২০১৬ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর কৃষক পর্যায়ে কুমিল্লা অঞ্চলে ২১৭৫০টি ইঁদুর নিধন করে প্রথম হয়েছে মো. জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১২৩৭৫টি ইঁদুর নিধন করে ২য় হয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন, কুমিল্লা। ৩৬৫০টি ইঁদুর নিধন করে ৩য় হয়েছেন সিরাজ গাজী, চাঁদপুর।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পর্যায়ে, ২১৭১৫টি ইঁদুর নিধন করে ১ম হয়েছেন, মো. ইকবাল হোসেন, দাউদকান্দি, কুমিল্লা। ১৮৮৫০টি ইঁদুর নিধন করে ২য় হয়েছেন- মো. আব্দুল আজিজ, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা। ৮৪০০টি ইঁদুর নিধন করে ৩য় হয়েছেন মো. হেলাল উদ্দিন, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর।
গবেষণার হিসাব অনুযায়ী ইঁদুর প্রতি বছর ৫০-৬৪ লাখ লোকের খাবার নষ্ট করে। ইঁদুর দ্বারা প্রতি বছরে ১.৫-২.০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ইঁদুর ৬০ প্রকার রোগের বাহক ও বিস্তারকারী হিসেবে কাজ করে। এসব ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এ অভিযান অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন-আরফানুল হক রিফাত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কুমিল্লা মহানগর শাখা।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইঁদুরের মতো ক্ষতিকর প্রাণী নিধন করার জন্য স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সর্বসাধারণকে উৎসাহিত করে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ যুগল পদ দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন-ড. হেলাল উদ্দিন আহমদ, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লা। ড. মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(ওএফআরডি), কুমিল্লা। কৃষিবিদ আলী আহম্মদ, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁদপুর। কৃষিবিদ মো. আবু নাছের, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কৃষিবিদ ড. সাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা। মো. ইয়াকুব আলী, আহ্বায়ক বি সি পি, কুমিল্লা।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেকটনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা।
লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম