ভোলা: জেলায় বুধবার রাতে নবান্ন ও পিঠা উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন। নবান্ন ও পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও পিঠানুরাগী নারীরা অংশগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালির আদি ঐতিহ্য হচ্ছে নবান্ন ও পিঠা উৎসব। অগ্রহায়ণের শুরুতে মাঠ থেকে সোনালি ফসল ঘরে তোলা হয়। এসময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই পিঠা উৎসব চলে। ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। নতুন চালের গন্ধে মৌ-মৌ করে গ্রামীণ বাড়ি-ঘরের আঙ্গিনা। যদিও বর্তমানে নগরায়নের ফলে কেউ কেউ পিঠাকে ভুলতে বসেছে। বিশেষ করে নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় আগের মত পিঠার স্বাদ নেওয়া হয় না। তাই এ ধরনের আয়োজন আবহমান বাংলার চিরন্তন রূপকেই মনে করিয়ে দেয় বলে বক্তারা মত দেন।
সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মো. মুজাহীদুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক আবিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুব্রত কুমার সিকদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম, প্রেসক্লাব সম্পাদক সামস-উল আলম মিঠু, ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পারভিন আক্তার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফসার উদ্দিন বাবুলসহ অনেকে।
উৎসবে বিভিন্ন পিঠার মধ্যে, পুয়া পিঠা, ঝাল পুয়া, রস বড়া পিঠা, ডিম পিঠা, পাক্কন পিঠা, নরমাল ফুল পিঠা, চন্দ্রঁ পুলি পিঠা, কেক পিঠা, গোলাপ পিঠা, পুডিং, গজা পাক্কন, ক্ষীর পাক্কন, চুই পিঠা, চিতই পিঠা, বিস্কিট পিঠা, সমুচা পিঠা, সিম ফুল পিঠা, ফুল ফুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, আলু পাক্কন পিঠা, নিমকি গজা পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, দুধ খেজুর পিঠা, কাল পিঠা, জামাই কুলি পিঠা অন্যতম।
এসময় পিঠার ঘ্রাণ ও স্বাদ অতিথি ও আগতদের মুগ্ধ করে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। শেষে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন