নতুন পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

339

2018-01-03_4_969192

জেলায় নেট দিয়ে ঘিরে কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদনের নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন কৃষকরা। নতুন এ পদ্ধতিতে কৃষকরা সন্তুষ্ট। কৃষকরা হাতে কলমে চাষ করে নিজেরাই বুঝতে পেরেছেন ভালো-মন্দ। কৃষকরা বুঝেছেন, পুরোপুরি কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদন করা কঠিন কিছু নয়। একই নেট একাধিক ফসলে ব্যবহারের সুযোগ থাকায় কৃষকরা লোকসানের মুখেও পড়বেন না। বরং নেট ঘেরা থাকায় সবজি থাকছে তরতাজা ও সতেজ। এ কারণে ক্রেতারাও আকৃষ্ট হবেন এ সবজি কিনতে। এসব কথা বলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামে আয়োজিত সবজি উৎপাদনের ক্ষেত পরিদর্শন করে কৃষকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩০ জন কৃষাণী ও ১০ জন কৃষক অংশ নেন। কৃষক-কৃষাণীদের পলিনেট দিয়ে ঘিরে ফসল উৎপাদন এবং পলিনেট ছাড়া ফসল উৎপাদনের পার্থক্য দেখানো হয়। কৃষক-কৃষানীরা বলেন, পলিনেটে থাকা বাঁধাকপি তরতাজা, সতেজ ও কীটনাশকমুক্ত। পলিনেটের বাইরের বাঁধাকপি অতোটা তরতাজা নয়। আয়োজকরা জানান, এখন চুয়াডাঙ্গা জেলার মাঠে মাঠে শীতের সবজি। কীটনাশকমুক্ত ও তরতাজা সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে পলিনেট ব্যবহারের সুবিধা হাতে-কলমে দেখানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ উদ্যোগ কৃষকদের আকৃস্ট করেছে।

এ আয়োজনে কৃষক-কৃষাণীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। কীটনাশকমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের কৌশল দেখানো হয়। মাঠে হাতে-কলমের কাজ শেষে আলোচনা সভায় কৃষক-কৃষাণীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। কৃষাণী নারগিস খাতুন ও কৃষক খোকন আলী বলেন, পলিনেট ব্যবহারের উপকারিতা আমরা বুঝতে পেরেছি। পলিনেট ব্যবহার করা না করার পার্থক্য মাঠে গিয়ে নিজেরা দেখে বুঝেছি। আমরা জেনেছি, সবজি চাষাবাদে পলিনেট ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে কীটনাশকমুক্ত সবজি।

ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ (এভিপিআই) প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সুবদিয়া গ্রামের কৃষক মো. ফকির মন্ডল। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ মাহমুদা আক্তার খান, মাঠ সমন্বয়কারি মীর আব্দুল মান্নান, আইএফডিসির ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আলমগীর রশিদ ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের আওতায় ছিল পলিনেট দিয়ে ঘিরে চারা উৎপাদন থেকে সবজি উৎপাদন পদ্ধতি পর্যন্ত। গত অক্টোবরে সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে পলিনেট দিয়ে ঘিরে পাতাকপির চারা উৎপাদন করা হয়। সেই চারা সুবদিয়া গ্রামে এনে পলিনেট ঘেরা স্থানে রোপণ করে চাষাবাদ করা হয়।সূত্র: বিএসএস

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন