ফার্মস এন্ড ফার্মার ২৪.কম প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটি জেলার প্রত্যন্ত দূর্গম উপজেলা সাপছড়ি, কাপ্তাই, ওয়াগ্গা, তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া ও শীলছড়ি মারমা পাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় ধনিয়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এ বিলাতি ধনিয়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেক কৃষক পরিবার। ফলনও হয়েছে বাম্পার। স্থানীয় বাজারে এখন পাহাড়ে উৎপাদিত বিলাতি ধনিয়ার চাহিদা বেড়েছে। অধিক ফলনের কারণে ক্রেতাদের জন্য বিলাতি ধনিয়ার দাম যেমন সহনশীল, তেমনি চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছে। একটা সময় পাহড়ে ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠির মধ্যে শুধুমাত্র তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিলাতি ধনিয়ার চাষ করত। কিন্তু কালের পরিবর্তনে আগ্রহ বেড়েছে অন্য সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যেও।
চাষিরা জানান, অল্প পুঁজি বেশি লাভ। বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি চাষ করা যায় এ বিলাতি ধনিয়ার পাতা। তাই কৃষকদের মধ্যে এটি চাষের চাহিদা বাড়ছে। এ ধনিয়ার পাতার গন্ধ কড়া। পাতা চ্যাপ্টা হওয়ায় ফলন বেশি হয়। পাতার দু-পাশে খাজকাটা হয়। সবুজ ও ভারি এ পাতা লম্বায় ১৫-২০ সেমি. এবং চ্যাপ্টায় ২-৩ সেমি.। একবার বীজ বুনলে কয়েক বছর পর্যন্ত গাছ বেঁচে থাকে। ফলে বারবার পাতা সংগ্রহ করা যায়। সাধারনত বিলাতি ধনিয়ার সম্পূর্ণ গাছ তুলে সংগ্রহ করা হয়। মরা ও পুরানো পাতা ফেলে আটি বেঁধে বাজারজাত করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর- এর উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা জানান, বিলাতি ধনিয়া পাতা পাহাড়ী এ অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষক-কৃষাণীরা যাতে বিলাতি ধনিয়া পাতা চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয় সেজন্য রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আন্তরিক ভাবে সাহার্য্য সহযোগিতা করছে।