মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি থেকে: ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠির মুখার্জি বহুমুখী খামার সাফল্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৬ বছর আগে মাত্র ৫টি গরু নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ খামার। বর্তমানে এখানে ছোটবড় ৬৫টি গাভি ছাড়াও রয়েছে ছাগল ভেড়া, টার্কিস মুরগি, মহিষসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত প্রাণী।
বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় অর্ধশত লোকের। তবে প্রযুক্তিগত সুবিধা না থাকায় এ খামারে উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ কিম্বা প্যাকেটজাত করা যাচ্ছে না। দিনেরটা দিনের মধ্যেই বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
২০০০ সালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা গ্রামের মুখার্জি বাড়িতে মাত্র ৫টি গাভী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল মুখার্জি বহুমুখি খামারের। তখন এর উদ্যোক্তারাও ভাবেননি একদিন এটিতে অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
মাত্র ১৬ বছরের ব্যবধানে এ খামারে রয়েছে ছোটবড় ৬৫টি গাভি ১০ মহিষ, প্রায় একশর মতো ভেড়া, ছাগল, অসংখ্য টার্কিস মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি। এখানে প্রতিদিন সকালে উৎপাদিত হচ্ছে ২শ লিটার দুধ যা পাইকারের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। তবে সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় বিকেলে উৎপাদিত প্রায় একশ লিটার দুধ দিয়ে ঘি তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, তারা এ খামারটি গড়ে ওঠায় তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
খামারের উদ্যোক্তা শংকর মুখাজি জানান, প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা না থাকায় আগ্রহ থাকলেও দুধ সংরক্ষণ এবং প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা পেলে আগামীতে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সম্ভাবনাময় এ খামারটি যাতে সরকারিভাবে সহযোগিতা পায় সেজন্য তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পেলে ঝালকাঠির এ খামারটি হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন