পাবনার সাঁথিয়ায় ‘স্বল্প মেয়াদী ও অধিক ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এবং বিনা সরিষা-৯ উৎপাদন’ শীর্ষক মাঠ দিবস

334

SAM_5513

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার উত্তর সোলাবাড়িয়া গ্রামের মাঠে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রের আয়োজনে ‘স্বল্প মেয়াদী ও অধিক ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এবং বিনা সরিষা-৯ উৎপাদন’ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সোমবার এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও আমদানী নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদী, অধিক উৎপাদনশীল বিনা-৪ এবং বিনা-৯ সরিষার বহুল প্রচার ও চাষিদের মাঝে এর আবাদ কৌশল জনপ্রিয় করাই ছিল এই মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
আশপাশের গ্রামের কয়েকশত চাষিকে মাঠ দিবসের মাধ্যমে একত্র করে প্রর্দশনী প্লটে এই সরিষার চাষাবাদ কৌশল, আন্তঃপরিচর্যা, ফসলের বাস্তব অবস্থা ইত্যাদি সরেজমিনে দেখানোর মাধ্যমে কৃষকদের এই সরিষার সমস্ত লাভজনক দিক প্রত্যক্ষ করানো হয়। এজন্য চাষিরা খুশি হয় এবং চাষকরার উৎসাহ বোধ করেন।

বিনা ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, বিনা ময়মনসিংহস্থ প্রধান কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল মালেক, সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রঞ্জন কুমার প্রামানিক ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এটিএম ফজলুল করিম।

বিশাল এই মাঠ দিবসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত চাষি সমাবেশে বক্তৃতায় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বিনা সরিষা-৪ এবং বিনা সরিষা-৯ চাষিদের মধ্যে আবাদের জন্য সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এই জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এই সরিষার জাত সমূহ আবাদের জন্য চাষিদের মধ্যে প্রর্দশনী প্লটের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটানোর প্রচেষ্টা চলছে। প্রচলিত দেশি জাতের চেয়ে এই জাতগুলো স্বল্পমেয়াদী, অধিক ফলনশীল এবং এই জাতে তেলের হারও বেশি। সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে, যথাযথ পদক্ষেপে কৃষি বিভাগের নিরন্তর পরামর্শে এবং আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারিভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে তেল, ডাল এবং মসলা জাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করা।

তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে অধিক উৎপাদনশীল জাত সমূহ যথাসময়ে যথাযথভাবে আবাদের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্য আমাদেরই পরিবর্তন করতে হবে।

বিনা ময়মনসিংহস্থ প্রধান কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল মালেক তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নিত্য নতুন ফসলের বিভিন্ন জাত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে যা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌছানোর জন্য সর্ববিধ চেষ্টা করছে। তিনি উপস্থিত চাষিদের নতুন জাত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া এবং দেশের তেল খাদ্য আমদানি করা থেকে রক্ষাকরে রপ্তানিমুখী করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

সংবাদদাতা: এ.টি.এম ফজলুল করিম। সহকারী তথ্য কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, পাবনা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন