লক্ষ্মীপুর: জেলা সদরে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার খাল খনন ও সেচ ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। এ নিয়ে কৃষকরা আশার আলো দেখছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সুফলভোগী হবে প্রায় ১ হাজার কৃষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা থেকে চরমনসা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার জিয়ার খাল ও মূসার খাল খনন, ৯টি সেচ ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় কৃষকদের সংগঠন হাতেম আলী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নামে সরকার খাল খনন ও অফিস-ঘর নির্মাণের জন্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সেচ ড্রেনের জন্য ৯০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থয়নে প্রকল্পটির তত্ত্বাবধায়ন করছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জি.ই.ডি) লক্ষ্মীপুর। ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইনসাফ ব্রাদার্স কাজটি পায়। স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থে কাজটি যথাযথভাবে করার লক্ষ্যে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি এ প্রকল্পটির কাজের তদারকি করছেন।
চরভূতা গ্রামের কৃষক রহমত মিয়া বলেন, কাজটি সম্পন্ন হলে পুরো এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। ইরি ফসল আরো কয়েকগুন বেশি হবে। ইউপি চেয়ারম্যান অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
খালের পাশের জমির মালিক হেদায়েত উল্লাহ জানান, জিয়ার খাল ও মূসার খালের পানি প্রবাহ না থাকায় চাষ করতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। হতাশায় দিন কাটাতে হতো কৃষকদের। দীর্ঘদিন ধরে খাল খননের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কাজটি শেষ হলে প্রায় ১ হাজার কৃষক উপকৃত হবে জানান তিনি।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সমিতির সদস্য সাইফুল হাসান রনি জানান, কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উন্নয়ন হবে ওই এলাকার কৃষকের। ইরি চাষ নিয়ে দুচিন্তায় থাকতে হবে না কৃষকদের। কিন্তু সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকদের সাথে কয়েক বার মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভা করা হয়েছে। কাজে যাতে কোন ধরনের অনিয়ম না হয় সেজন্য আমি নিজেই তদারকি করছি।
আশা করছি মার্চ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পের কাজটি শুরু করা হয়। কাজটি সঠিকভাবে শেষ হলে ওই অঞ্চলের কৃষকরা সুফল পাবে
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন