পার্বত্যাঞ্চলে এবারও কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব কলা স্থানীয় চাহিদা পূরন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে সংরক্ষণের ব্যাবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ কলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার বরকল, নানিয়াচর, লংগদু, জুরাছড়ি, কাপ্তাই; বাঘাইছড়ি উপজেলা ও সাজেক ইউনিয়ন; বান্দরবান জেলার আলীকদম, রুমা, রোয়াংছড়ি; থানছি উপজেলা ও খাগড়াছড়ি উপজেলায় আগে থেকেই কলাচাষের খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর এসব জায়গায় পাহাড়ে বাংলা কলা, চাপা কলা, আনাজি কলা, সাগর কলা, সবরি কলা ও সূর্যমুখী কলার উৎপাদন বেশ ভালো হয়। এখানকার পাহাড়ি মাটি কলা চাষের উপযোগী হওয়ায় সারা বছর এসব অঞ্চলে কলার ফলন হয়। কিন্তু চাষীরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার কলার দাম অনেক কম। তাই ন্যায্য দামও না পওয়ায় তারা হতাশ। আরও জানা গেছে, রাঙামাটিসহ অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এবার কলার প্রচুর ফলন হয়েছে। এমনকি এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় এলাকা ছাড়িয়ে পার্বত্য জেলার কলা বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে সংরক্ষণ ও সুষ্ঠ বাজারজাতে নানা সমস্যার কারণে উৎপাদিত কলার বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে বহুকষ্টে উৎপাদিত কলা পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা।
সূত্র: বা.প্র