মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিল৷ শীতে শুকিয়ে যাওয়া এ বিলজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। বিল থেকে এখন তোলা হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া।
আড়িয়াল বিল
মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ১৩৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে আছে আড়িয়াল বিল। দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন এ বিলের মাটি খুবই উর্বর৷ শুষ্ক মৌসুমে তাই এ বিলে ফসল ফলান কৃষকরা।
মিষ্টি কুমড়া
শুষ্ক মৌসুমে নানান সবজির পাশাপাশি কৃষকরা আড়িয়াল বিলে মিষ্টি কুমড়ার চাষই সবচেয়ে বেশি করেন৷ বাংলাদেশে মিষ্টি কুমড়ার সবচেয়ে বেশি চাষ হয় এখানেই।
চাষাবাদ
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, আড়িয়াল বিলে ২৭০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়৷ গত বছর আড়িয়াল বিলে ১১,৩৪০ মেট্রিক টন কুমড়ার চাষ হয়েছিল।
আড়িয়াল বিলে চাষ হওয়া মিষ্টি কুমড়া আকারে বেশ বড় হয়৷ কোনো কোনো মিষ্টি কুমড়া দুই থেকে আড়াই মন ওজনের হয়ে থাকে। সারা দেশে আড়িয়াল বিলে চাষ হওয়া মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা রয়েছে। মিষ্টি কুমড়া পাকা শুরু হলে তা তুলতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিকরা আসেন আড়িয়াল বিলে।
[metaslider id=”9233″]
মিষ্টি কুমড়া তোলার শ্রমিকদের বেশিরভাগই আসেন দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে। এ কাজে একজন শ্রমিক দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পান।
বিলের কাছাকাছি জমি থেকে শ্রমিকরা মিষ্টি কুমড়া মাথায় করে নিয়ে আসেন৷ পরে সেখান থেকে কিনে নিয়ে যান পাইকাররা। তবে দূরের জমি থেকে মিষ্টি কুমড়া নিয়ে আসা হয় নৌকায়। শীতে বিলের ভেতরের খালগুলো প্রায় শুকিয়ে গেলে শ্রমিকরা গুন টেনে নৌকা নিয়ে আসেন।
চাষিরা আড়িয়াল বিলের গাদিঘাটে সব মিষ্টি কুমড়া জড়ো করেন। সেখান থেকে পাইকাররা কিনে পাঠিয়ে দেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বাজার মূল্য
আড়িয়াল বিল থেকে পাইকাররা প্রতি পিস হিসেবে কিনে নেন মিষ্টি কুমড়া। আকারভেদে প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় ৭০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকায়। ডিডব্লিউ
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন