বাংলাদেশে মুরগি ব্যাপক চাহিদা। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং অন্যান্য কারণে ব্রয়লার মুরগির চেয়ে চাহিদা বেশি পাকিস্তানি মুরগির। কারণ এটি দেশি মুরগির মতো শক্ত এবং স্বাদও ব্রয়লারের চেয়ে ভালো।
অনেকটা দেশি মুরগির মতো দেখতে হলেও এটি আসলে দেশি মুরগি নয়। বাংলাদেশে এটিকে পাকিস্তানি মুরগি বলে ডাকা হয়। তবে পাকিস্তানি মুরগি নামে এটিকে চিনলেও এর চাষ হয় বাংলাদেশেই। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি বলা হলেও এটি আসলে পাকিস্তান থেকে আসেনি বা এটি পাকিস্তানি কোনও জাত নয়।
কয়েকজন মুরগি ব্যবসায়ীর কাছে পাকিস্তানি মুরগি বলার কারণ জানতে চাইলে তারা এর কোনও সঠিক উত্তর জানাতে পারেননি। কেউ কেউ বলেন, অনেক আগে থেকে এই নাম শুনে এসেছি তাই এই নামে ডাকি।
এ বিষয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, ‘‘আর.আই.আর মোরগের সাথে ফাউমি মুরগির সংকরায়নে যে জাত জন্ম নেয় সেটাই বাজারে বিক্রি হয়।’’
তিনি বলেন, “এটাকে পাকিস্তানি মুরগি বলা আসলে ভুল। ফাউমি মূলত মিশরের একটা মুরগির জাত।”
দেশি মুরগি এবং পাকিস্তানি মুরগির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও কয়েকটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। একটু খেয়াল করলেই এটি খুব সহজেই চেনা যায়।
এই দুই জাতের মুরগির মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হলো- পাকিস্তানি মুরগির মাথার ঝুটি ফ্যাকাশে লাল থাকে আর দেশি মুরগির মাথার ঝুটি গাঢ় লাল থাকে।
আরেকটি পার্থক্য হলো- পাকিস্তানি মুরগির পা মসৃণ বা সমান থাকে আর দেশি মুরগির পা মসৃণ নয়। সূত্র: বিবিসি
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন