মো. নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে রুপালি ১ জাতের তুলার চাষ। এখন মৌসুমে সাদা তুলায় ভরে গেছে ক্ষেত। আর বাগান থেকেই তা চলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার কটোন মিলে। দামও মিলছে ভালোই। তুলা চাষ এ অঞ্চলের কৃষকদের একটি নতুন সম্ভাবনা বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
ঝালকাঠি শহরতলীর কৃষি ভিত্তিক গ্রাম গাবখান। সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের এ গ্রামটিতে যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০১১ সালে শুরু হওয়া রুপালি ১ জাতের তুলার চাষ এখন ৫/৬ বছরে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়েছে। তুলার দামও মোটামুটি ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষক তুলা চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষকরা জানান, অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে আষাঢ় শ্রাবণে তুলার বীজ লাগানো শুরু হয়। এক ধরনের গুল্মজাতীয় এ গাছে কার্তিক মাসে ফুল ধরে। সেই ফুল থেকে চৈত্র মাসজুড়ে কৃষক মাঠ থেকে তুলা সংগ্রহ হয়। বিঘা প্রতি ১০ মন তুলার উৎপাদন পাওয়ায় যায়। চুয়াডাঙ্গার কটোন মিলে ২৪শ টাকা মন দরে বিক্রি করেন ঝালকাঠির কৃষকরা। তবে গত বছর বেশ লাভ হলেও এ বছর শীতের কুয়াশায় তুলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে তুলা চাষকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রন্তিক কৃষকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বলে কয়েকজন কৃষক জানান। ৎ
২০১১ সালে যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ঝালকাঠির গাব খান গ্রামে ১৭ একর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে তুলার চাষ করা হয়। এবছর আশপাশের গ্রামসহ মোট ৭০ একর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, তুলা চাষজেলার কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা। এতে লোকশানের ঝুঁকি কম। ঝালকাঠি কৃষি বিভাগ তুলা চাষে কৃষককে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
2-day Seminar on Food & Environment Safety in Poultry Production held
সিভিএএসইউতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন