প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ লক্ষে আগামী তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
সোমবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার মধ্যরাত থেকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন এবং স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে তাহলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রজননকালীন সময়ে অবৈধ শিকারীদের হাত থেকে মাছ বাঁচাতে হ্রদে নৌ পুলিশ, বিজিবি এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে। এছাড়াও অবৈধ মৎস্য শিকারিদের শাস্তি প্রদানে ভ্রাম্যমাণ অাদালত প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে হ্রদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। অভয়াশ্রমগুলো হলো জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট এবং নানিয়ারচর ছয় কুড়িবিল।
এদিকে, জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে মাথাপিছু ২০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে ৩০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। মে মাসের শুরুতে ১৫ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসে বাকি ১৫ মেট্রিক টন মাছের পোনা হ্রদে অবমুক্ত করা হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন