সিলেট সংবাদদাতা: নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি ভুট্টা চাষে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন বিশ্বনাথের কৃষিপ্রেমী তরুণ সাহেদ মিয়া (২১)। আমন ধানের পর ফসলের মাঠ যখন দীর্ঘ সময় অব্যবহৃত থাকে তখন ওই সময়টাকেই কাজে লাগান তিনি। পরবর্তী ধান চাষের পূর্ব পর্যন্ত মাঠে চাষ করেন ভুট্টা। এতে বছরে অল্প খরচ ও পরিশ্রমে বাড়তি আয় করেন তিনি।
সাহেদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সদলপুরে (বরইগাও)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রির জন্যে মাঠ থেকে তুলে আনা ভুট্টার খোসা ছাড়াচ্ছেন তিনি। পরে তার সাথে যাওয়া হয় বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে।
কৃষি অফিসের দেয়া সার ও বীজে ৩৩ শতক জায়গা বর্গা নিয়ে এবার ভুট্টার চাষ করেন তিনি। গেল পৌষ মাসে বীজ রোপণের পর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে ফসল তোলা শুরু হয়। মাত্র ৫ মাসের মাথায় ওই ক্ষেত থেকে পান ১৫ মন ফসল। ফসলের মাঠ তৈরি, গাছের পরিচর্যাসহ খরচ বাদে এ থেকে তিনি আয় করেছেন ২৫ হাজার টাকা।
সাহেদ জানান, পিতার দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া সাহেদের আর পড়ালেখা এগোয়নি। বেকারত্ব গুচাতে নিজে কিছু একটা করার চিন্তা ছিল তার। এ থেকেই উপজেলা সদরের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সহকারী হিসেবে চাকরি নেন তিনি। ৯ বছর চাকরির পর পরিবারের অন্যদের সহযোগিতা নিয়ে তিনি নিজেই এখন একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের পরিচালক। ব্যবসা করলেও তার পছন্দের পেশা কৃষি টানছিল তাকে। কৃষিতেই তৃপ্তি তার। বছরে দু’বার ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষেও এভাবেই বাড়তি আয় করেন তিনি। আগামীতে ভুট্টার সাথে স্ট্রবেরিও চাষের ইচ্ছে রয়েছে তার।
এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী নূর রহমান বলেন, ভুট্টা এ এলাকার ক্ষেত্রে নতুন ও উপযোগী ফসল। বিভিন্ন মৌসুমে এখানে প্রচুর জমি পড়ে থাকে। ওই সময়টাতে ভুট্টা চাষ করা যেতে পারে। ধানের চাইতেও কম খরচ ও পরিচর্যায় ভুট্টা উৎপাদন করা যায়। এতে লাভও বেশি। সাহেদের মতো অন্যরাও ভুট্টা চাষে লাভবান হতে পারেন। বিপি
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন