এক শীষে হাজার ধান। নিজের হাতে এমন স্বপ্ন বুনেছেন বাগেরহাটের নারী কৃষক ফাতেমা। যা আশাবাদী করে তুলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেও।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, এই ধানে চিটা কমানো গেলে প্রতি হেক্টরে ফলন হতে পারে ১৫ টন পর্যন্ত। আর তা হলে কৃষিতে নতুন চমক হিসেবে দেখা দেবে ফাতেমার নতুন জাতের ধান।
বাগেরহাটে নিজের ক্ষেতে এই স্বপ্ন বুনেছেন ফাতেমা নামের এক নারী কৃষক। তিনবছর আগে ৩টি শীষ পেয়েছিলেন ফাতেমা ও তার ছেলে। পরের বছর যা বুনে পান ২ কেজি বীজ ধান। সেই বীজ এবার চাষ করেন, ১বিঘা জমিতে।
সাধারণ ধানে যখন হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে আট টন, সেখানে ফাতেমা ফলন পেয়েছেন ১১ টনের মতো। যা আশাবাদী করে তুলেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকেও।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, ফাতেমার ধানে চিটার পরিমাণ অনেক বেশি। এটা কমানো গেলে ফলন ১৫ টন পর্যন্ত নেয়া সম্ভব।
কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণার মাধ্যমে নতুন এ ধানে স্থিতিশীলতা না আনা পর্যন্ত, একে আলাদা জাত হিসেবে ঘোষণা করা ঠিক হবে না। তা না হলে হরি ধান, কাপালী ধানের মতো এ ধানও অল্প দিনেই কৃষকের মাঠ থেকে হারিয়ে যাবে।
দেশে এখন মোট চালের উৎপাদন সাড়ে ৩ কোটি টনের বেশি। যার বেশিরভাগই আসে বোরো মৌসুমে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন