অল্প খরচে বেশি মুনাফা পেতে যেসব প্রজাতির গরু পালন করবেন

389

গরুর নানা প্রজাতির মধ্যে এইটা একটি অন্যতম প্রজাতি। পশুপালকরা অতিরিক্ত আয়ের জন্য পালন করতে পারেন থারপারকার প্রজাতির গরু। কি কি সুবিধা রয়েছে এই প্রজাতির গরু পালনে? দেখে নিন বিশদ তথ্য –উৎপত্তিস্থল –এই জাতটি পশ্চিম সীমান্তের পশ্চিম রাজস্থান এবং সিন্ধু পাকিস্তানে অধিক দেখা যায়।

ভারতে এই গরুর জাতটি প্রধানত বার্মা, জয়সওয়ালমির, যোধপুর, কচ্ছ অঞ্চলে দেখা যায়। এই প্রজাতিটি ধূসর সিন্ধি, হোয়াইট সিন্ধি এবং থারি নামেও পরিচিত।এই জাতের বৈশিষ্ট্য –এদের দেহ মাঝারি আকারের এবং বর্ণ হালকা বাদামী। শরীর এবং হাড় বেশ শক্ত। মুখটি সাধারণত দীর্ঘায়িত হয়, মাথা প্রশস্ত, এদের শিং মাঝারি আকারের, প্রান্ত ধারালো।দুধ দেওয়া ছাড়াও এই জাতের ষাঁড়গুলি চাষ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, এই জাতকে দ্বৈত উদ্দেশ্য প্রজাতিও বলা হয়।

এদের দুধে ৫% ফ্যাট রয়েছে। এই জাতের গরু প্রতিদিন দশ লিটার দুধ দেয়।থারপারকার জাতির গরুর চাহিদা –এই জাতের গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব ভাল। শরীর স্বাস্থ্যের দিক থেকে সেরা হিসাবে বিবেচিত, পাশাপাশি কম খরচে সবচেয়ে বেশি দুধ দেয় এই প্রজাতিটি। এই জাতের গাভী আঞ্চলিক গ্রামবাসীদের জীবনের সহায়ক। পশুপালন ও দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানে থারপারকার জাতের গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।খাদ্য ব্যবস্থাপনা –খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এই জাতের গরুর খরচ খুব কম।

এই প্রজাতিটি কম ও শুকনো চারা খেয়েও বেশী দুধ উত্পাদন করতে পারে।এদের ভুট্টা, যব, জোয়ার, বাজরা, গম, ওটস, চিনাবাদাম, সরিষা, তিল, ফ্লেক্সসিড থেকে তৈরি করা সবুজ চারা, খড় থেকে তৈরি উপচার খাদ্য হিদাবে দেওয়া যেতে পারে। প্রাণীটিকে তার দেহের ওজন অনুযায়ী খাবার দেওয়া উচিৎ, তবে অবশ্যই ভারসাম্যযুক্ত খাবার দিতে হবে।সময়মতো অ্যান্টি-ভ্যাকসিন –বাছুরদের ৬ মাস বয়সে ব্রুসেলোসিস সহ প্রথম টিকা দেওয়া উচিত। তারপরে এক মাস পর ক্ষুরারোগ, গলার রোগ এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রদান আবশ্যক। বাছুরের এক মাসের আগে শিং রোধন করবেন না।

আরও একটি বিষয় মনে রাখবেন যে, প্রাণীটিকে অজ্ঞান না করে ইলেকট্রিক হিটার দিয়ে শিং রোধন করলে তা প্রাণীটির পক্ষে ভালো।

ডা মোঃ শাহীন মিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিসিএস প্রাণিসম্পদ

ফার্মসএন্ডফার্মার/০২ফেব্রুয়ারি২০২১