আধানিবিড় চিংড়ি চাষে সফলতার জন্য জীবাণুমুক্ত পানি, ভাইরাসমুক্ত সুস্থ ও সবল পোনা, মানসম্পন্ন উপকরণ ও খাদ্য এবং পানির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য পরিকল্পিত পুকুর, কাছাকাছি লবণাক্ত পানির উৎস, পানি প্রবেশ ও নির্গমনের জন্য পৃথক পাকা নর্দমা অথবা পাইপ লাইন, কমপক্ষে একটি রিজার্ভ পুকুরসহ একাধিক চাষের পুকুর, ইটিপি ইত্যাদি আবশ্যক। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ লাইন, বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা (জেনারেটর), এ্যারেটর, স্থায়ী বা অস্থায়ী বেষ্টনী, পাম্প মেশিন, খাদ্য, অন্যান্য উপকরণ ও জ্বালানী সংরক্ষণের জন্য পৃথক স্টোর রুম ইত্যাদি থাকতে হবে। এছাড়া পানি পরিস্কার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবং রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য পৃথক কক্ষ, কর্মচারীদের জন্য পৃথক আবাসিক ব্যবস্থা ও স্বাস্থসম্মত বাথরুম, অ্যাপ্রোচ রোড ইত্যাদিও আধানিবিড় বাগদা চিংড়ি খামারের বৈশিষ্ট্য।
পরিকল্পিত পুকুর:
উন্নত চিংড়ি চাষে পরিকল্পিত পুকুর অপরিহার্য। ৫-৬ ফুট পানি ধরে রাখা যায় এমন পুকুর উত্তম। পুকুরের পাড় ৬ ফুট চওড়া ও বন্যামুক্ত, পাড়ের ঢাল ১:২, তলা নির্গমন-নালার দিকে সামান্য ঢালু, আয়তাকার, বর্গাকার বা উপবৃত্তাকার হতে পারে। আয়তন ৬০-১০০ শতক ভাল। পাড় যথেষ্ট মজবুত হতে হবে যেন পানি চুইয়ে প্রবেশ করতে না পারে। পাড়ের টপ ও ঢাল মজমুত করার জন্য ভাইব্রেটর যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্ভরযোগ্য লবণাক্ত পানির উৎসের কাছাকাছি পুকুরের অবস্থান এবং মাটি দোআঁশ, বেলে- দোআঁশ বা এটেল-দোআঁশ ভাল। এক জায়গায় একাধিক পুকুর হলে ভাল হয়।
সূত্র: ইউএসএআইডি