কুড়িগ্রামে কয়েকদফা বন্যা আর সংরক্ষণের অভাবে গো-খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছেন গবাদিপশুর মালিকেরা। বাজারে চড়া দামেও ঠিকমত মিলছে না খড়। সংকট সমাধানে আগাম জাতের ধান ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস চাষের পরামর্শ প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ গরু ও মহিষ রয়েছে। ফসল উৎপাদনসহ বিকল্প আয়ের পথ হিসেবে গবাদিপশু বিক্রি করেই জীবিকা চলে তাদের। এ বছর দীর্ঘ বন্যায় জমিতে বালু জমেছে।
গবাদিপশুর খাবার সংকট নিয়ে পড়েছেন বিপাকে কৃষকরা। কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন গরু। বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস চাষের পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
কুড়িগ্রামের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘প্রায় ৬ হাজারের অধিক কৃষককে আমরা দানাদার খাদ্য সরবারহ করেছি। সেই সঙ্গে আমাদের উপজেলা অফিসের যে নার্সারি আছে আমরা চারা সংগ্রহ করেছি উন্নত জাতের ঘাস চাষের জন্য। তাদের পরামর্শ দিচ্ছি এই খড়টা যেন তারা সংরক্ষণ করে।’
চলতি আমন মৌসুমে ধান কাটা শুরুর আগ পর্যন্ত সরকারের সহযোগীতা চান ভুক্তভোগী কৃষকরা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১অক্টোবর২০