আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ২.৫০ লাখ মে.টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা

415

[su_slider source=”media: 3438,3439,3440″ title=”no” pages=”no”]

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: আঞ্চলিকপ্রবাদ আছে ‘আমের আনা মাছের পাই, টিকলে পরে কে কত খাই’। জেলা সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল এ পাঁচ উপজেলা নিয়ে আমের রাজধানী আমঅঞ্চল নামে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ২০ লাখ ১ হাজার ৪ শত আম গাছে পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি (কড়ালী)। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ আর আমের গুটিগুলো আম চাষিদের মুখে হাসি ফুটাতে শুরু করেছে। সড়কের দু’ধারে সারি সারি আম বাগান ও সুস্বাদু আমের কথা উঠলে চলে আসে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কথা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মুন্জুরুল হুদা জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় এবার ২১ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে আমের বাগান করা হয়েছে, যার ৯১ শতাংশ আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে।। তিনি আরো জানান, জেলায় শতাধিক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে, এর মধ্যে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত (হিমসাগর), ল্যাংড়া, ফজলি, আ¤্রপালি, খিরসাপাত, বৃন্দাবনী, লক্ষনভোগ, কালীভোগ ও আশ্বিনা জাতের আমই বেশি চাষ হয়ে থাকে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আম বাগান থেকে প্রায় ২.৫০ লাখ মে.টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোলাহাটের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন, সদর উপজেলার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান মিয়া, শিবগঞ্জের এসএপিপিও শফিকুল ইসলাম, সদরের আমচাষি আ. রকিব, তোহিদুর ও মুকুল হোসেন জানান, দু’এক দিনের এক পলসা বৃষ্টি আম উৎপাদনে হয়তো কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আম চাষিদের পরামর্শ প্রদান এবং সেমোতাবেক পরিচর্যার কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আমের বাম্পার ফলনের অপার সম্ভাবনার পরও ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু ও চাঁপাইনাবাগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস’র সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, গত মৌসুমে বিষমুক্ত আম উৎপাদন ও আম সংগ্রহের প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সিমা ২৫ মে’র আগে গাছে আম পেকে পড়ে গেলেও বাজারজাত করা যাবেনা, যার ফলে গতবারের ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিরা এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন আতঙ্কিত না হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আম যখন পাকবে তখনই আম চাষিরা বাজারজাত করবে এবং আগে আম পাকলে তা বিবেচনায় নিয়ে এবার সময়সিমা পুননির্ধারণ করা হবে বলে আম চাষিদের আশ্বস্ত করেছেন।।