মুরগির খামারে বিশুদ্ধ পানি এবং খাদ্য সরবরাহের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে

956

মুরগির খামারে বিশুদ্ধ পানি এবং খাদ্য সরবরাহ

বেশির ভাগ জীবাণু সাধারণত পায়খানার মাধ্যমে পানি অথবা খাবারে সংক্রমিত হয় এবং পরে পুরো খামারে ছড়িয়ে যায়। তাই খাবার এবং পানি ব্যবস্থাপনায় যেসব বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হলো-

  • প্রথম দিন কাগজের উপর খাবার সরবরাহ করা যাবে। দ্বিতীয় দিন থেকে খাবারের পাত্রে খাবার সরবরাহ করতে হবে।
  • খাবার এবং পানির পাত্রে মুরগি যাতে পায়খানা করতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। মুরগির উচ্চতা অনুযায়ি পাত্র উপর থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে বা উঁচু করে দিতে হবে। খাবার এবং পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
  • মাইকোটাক্সিনযুক্ত খাবার মুরগির বৃদ্ধির অন্তরায় হিসাবে কাজ করে। এজন্য খাদ্য উপাদান বিশেষ করে ভুট্টা ও সয়াবিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ভুট্টার দানা অবশ্যই পরিষ্কার এবং ছত্রাকমুক্ত হতে হবে। খাবারে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভুট্টা আরেকবার পরিষ্কার করে নিতে হবে। সয়াবিন মিলের গুণগত মান সঠিকভাবে যাচাই করে ক্রয় করতে হবে। এছাড়া সয়াবিনে কোন ভেজাল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে ক্রয় করতে হবে।
  • প্রস্তুতকৃত খাদ্য যেন গুণগত মান ও সুষম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ খাদ্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। আর্দ্র ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করলে খাদ্যে মাইকোটাক্সিন উৎপন্ন হতে পারে। সেই সাথে অন্যান্য জীবাণু যেমন- সালমোনেলা, ই কলাই, ককসিডিয়া এসব সংক্রমিত হতে পারে।