মিষ্টিকুমড়া কেনো খাবেন

326

slices of baked pumpkin in baking dish
নাহিদ বিন রফিক: মিষ্টিকুমড়া এদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। এর কারণ দু’টো। এক, সারা বছর পাওয়া যায় এবং দুই, পাকা অবস্থায় এটি বহুদিন সংরক্ষণযোগ্য। এর ফল, ফুল ও ডগা অত্যন্ত সুস্বাদু। পুষ্টিকরও বটে। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মিষ্টিকুমড়া যথেষ্ঠ কাজ করে। ভাজি এবং তরকারি ছাড়াও তৈরি করা যায় চপ,খিচুরি এবং জুসের মতো মুখরোচক আরো খাবার। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়ায় ভিটামিন-এ ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-সি ২৬ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়াম আছে ৪৮ মিলিগ্রাম করে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে শর্করা, আমিষ, লৌহ, চর্বি, ভিটামিন-বি ও খাদ্যশক্তি রয়েছে যথাক্রমে ৪.৫ গ্রাম, ১.৪ গ্রাম, ০.৭ মিলিগ্রাম, ০.৫ গ্রাম, ০.১৩ মিলিগ্রাম এবং ৩০ কিলোক্যালরি। এদেশে ভিটামিন-এ’র অভাব যথেষ্ঠ। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় শিশু, গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের মধ্যে। এতে শিশুরা রাতকানায় আক্রান্ত হয়। তবে চিকিৎসা না করলে পুরোপুরি অন্ধ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়া এদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশে হয় বাঁধাপ্রাপ্ত। পাশাপাশি বড়রাও হচ্ছেন নানা রোগের সম্মুখীন। অথচ মিষ্টিকুমড়াসহ অন্যান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ সবজি নিয়মিত খেলে এসব সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। তাই এ জাতীয় সবজি আমাদের সবসময় খাওয়া বাঞ্ছনীয়।