[su_slider source=”media: 2964,2963″ title=”no” pages=”no”]
এ পোকার আক্রমণ কিভাবে বুঝবেন:
- গাছের নিচে গেলে এ পোকা এলোপাথাড়িভাবে উড়ে এসে চোখে-মুখে লাগে।
- এ পোকা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে বিধায় কাছে গেলে পাতায় চট চট আওয়াজ হয়।
- আমের মুকুল শুকিয়ে ঝড়ে পড়তে শুরু করে।
এ পোকা চিনবেন কিভাবে:
- হপার পোকা দেখতে ছোট অবস্থায় সাদাটে, বয়স্ক অবস্থায় সবুজ-তামাটে রংয়ের হয়।
- এ পোকা দলবদ্ধভাবে পাতার নিচে বা ডালের নিচে অন্ধকার স্থানে অবস্থান করে।
ক্ষতির ধরন:
- হপার পোকা আম গাছের কচি পাতা, ডগা, ফুলের বোঁটা ও মুকুলের রস চুষে খায়।
- মুকুল শুকিয়ে খড়ের রং হয় এবং ঝরে পড়ে।
- এ পোকা গাছের কান্ড ও পাতার উপড় আঠালো রস (মল) ত্যাগ করে। এতে শুটিমোল্ড রোগের সৃষ্টি হয়। একে স্থানীয়ভাবে মধুঝরা বলে।
দমনব্যবস্থা:
- ফল সংগ্রহের পরপরই গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা কেটে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখুন।
- এলাকায় সম্মিলিতভাবে গাছে ধোঁয়া দিয়ে প্রথমিক অবস্থায় হপার পোকা তাড়ানো যায়।
- কট ১০ ইসি ১০ এমএল প্রতি ১০ লিটার পানিতে অথবা রিপকর্ড ১০ ইসি ১০ মি.লি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে গোড়াসহ সম্পূর্ণ গাছে স্প্রে করুন। স্প্রে করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পাতা ও ডালের নীচের অংশেও যেন কীটনাশক ভালোভাবে লাগে।
- উল্লেখিত কীটনাশকের সাথে ২ চা চামচ (১০ গ্রাম) ডায়থেন এম-৪৫ বা ১০ মি.লি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে শুটিমোল্ড রোগ সফলভাবে দমন করা যায়।
স্প্রে করার সময়:
- ১ম বার: মুকুল আসার আগে গাছে ভালোভাবে স্প্রে করুন।
- ২য় বার: মুকুল আসার পর ফুলগুলো অফোটা অবস্থায় স্প্রে করুন।
- ৩য় বার: আমের গুটি মটর দানার মত হলে স্প্রে করুন।
সূত্র: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর