লাউ প্রধানত শীতকালীন সবজি হলেও কৃষি বিজ্ঞানীদের কল্যাণে আলোক অসংবেদনশীল উন্নতজাতের উদ্ভাবনের ফলে লাউ এখন সারা বছরই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। লাউ একটি লতানো ও অধিক অঙ্গজ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত প্রকৃতির গাছ বিধায় আধুনিক বাণিজ্যিক চাষ, ছাদকৃষি বা ভার্টিক্যাল কৃষির জন্য কিছুটা বেমানান। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. এ কে এম আমিনুল ইসলাম সম্প্র্রতি বিইউ হাইব্রিড লাউ-১ ও বিইউ লাউ-১ নামের লাউয়ের দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন।
উদ্ভাবিত লাউ দুটি ফসলের আধুনিক ও বাণিজ্যিক চাষাবাদের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে তিনি আশা করেন।
উন্নত জাতের দুটি লাউ উদ্ভাবন করলেন ড. আমিনুল
ড. আমিনুল ইসলাম জানান, উচ্চফলনশীল এ জাত দুটির মধ্যে একটি হাইব্রিড এবং অন্যটি উন্মুক্ত পরাগায়িত (ওপি)। দুটিরই ফলনের তুলনায় অঙ্গজ বৃদ্ধি খুব কম- যা আধুনিক বা স্মার্ট কৃষির জন্য একেবারে লাগসই। তাছাড়াও পুং ও স্ত্রী ফুলের অনুপাত কম হওয়ায় গাছে খাদ্যের যে জোগান দেয়া হয় তা অত্যন্ত মিতব্যয়িতার সঙ্গেই সরাসরি ফলোৎপাদনে ব্যবহার হয়। অর্থাৎ অন্যান্য প্রচলিত জাতের তুলনায় অপচয় কম হয় এবং ফল কম ঝরেপড়ে। হাইব্রিড জাতটি আলোক অসংবেদনশীল হওয়ায় সারা বছরই চাষযোগ্য, খেতে খুব সুস্বাদু এবং গ্রীষ্মকালীন চাষেও স্বাদের খুব একটা হেরফের হয় না বলে তিনি জানান।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১১ফেব্রু২০২০