একজন মুরগি খামারীকে যে বিষয়গুলো জরুরি

188

গাউট,আই বি এইচ,এ আই(এইচ৯এন২,এইচ৫ এন১),আই বি,মেরেক্স,লিউকোসিস,রিও,এসাইটিস,সাডেন ডেথ সিন্ড্রম,ক্রনিক ইক্লাই,গাম্বোরু,রানিক্ষেত সহ অন্যান্য ভাইরাল ডিজিজের চিকিৎসা নাই মানে এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করে তেমন লাভ নাই তবে অবস্থা অনুযায়ী একটু এদিক সেদিক হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে খামারীরা এসব রোগের জন্য এক হাজার মুরগির (ব্রয়লার,সোনালী,লেয়ার)জন্য ৩০০০-৪০০০০টাকা খরচ করছে।তবে এন্টিবায়োটিক না দিলেও মুরগি ভাল হতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন আই বি,রিও,এইচ ৯এন ২,গাম্বোরু,আবার চিকিৎসা করলেও মারা যাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন গাউট,আই বি এইচ,সাডেন ডেথ সিন্ডম,এইচ ৫এন১,ক্রনিক ইক্লাই.

ডাক্তার এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা গুরুত্ব না দিলে মনে শান্তি আসেনা কিছু ভাল লাগেনা,মনে করা হয় এসব ডাক্তার এসব রোগের চিকিৎসা জানেনা।তাই ডাক্তাররাও হাজার হাজার টাকার মেডিসিন লিখছে আর খামারীরা খুশি মনে মুরগিকে খাওয়াচ্ছে।

তাই ভাল/সততার দাম নাই।তাই এসব খামারীদের জন্য (আমি ত ভালা না ভালা লইয়া থাকেন) কারণ আমি আমার আদর্শ থেকে সরবো না।
সব ডাক্তার এসব ক্ষেত্রে এক হলে খামারী এবং ডিলাররা ঠিক হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।তবে আশা করি এক সময় হবে যেমন আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে অনেকেই জানতে পারবে।

রোগ নির্ণয়টাই প্রধান কাজ,অথচ চিকিৎসা দেয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

রোগ ভাল হবে কিনা তা রোগ এবং রোগের ধরণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার উপর সব সময় নির্ভর করেনা।এই কথাটা খামারীদের জানা উচিত।তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের ২টি শর্ত থাকতে হবে।
১.সঠিক রোগ নির্ণয় করতে হবে।
২.ডাক্তারকে এক্সপার্ট হতে হবে।

ডাক্তারের মেইন কাজ হল ব্যবস্থাপনা,রোগ নির্ণয়,চিকিৎসা,প্রোগ্নোসিস,তবে এন্টিবায়োটিক এবং ভ্যাক্সিন নিয়ে গভীর দক্ষতা থাকা উচিত।ফিড ফর্মুলেশন,নিউট্রিশনের দক্ষতা থাকলে সৌন্দর্য বাড়ে।

প্রোগ্নোসিস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটাকে কেউই আমলে নিচ্ছেনা। প্রোগ্নোসিস মানে মুরগির ভবিষ্যত বলে দেয়া।
একজন ডাক্তারের দক্ষতা প্রোগ্নোসিসের উপর অনেকটা নির্ভর করে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭মার্চ ২০২২