খামারে যেসব বিষয়ের খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
১।প্রতিদিন খাবার ও পানির হিসাব নিতে হবে
২।মুরগি অসুস্থ কিনা বা মারা গেলে তা ডাক্তার কে জানাতে হবে।
৩।রাত্রে খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার করছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে যাতে ইদুর না আসে।
৪।ফুট বাথ ব্যবহার করে কিনা খেয়াল রাখতে হবে
৫।দিনে ২ বার মিনিমাম ১বার ফুট বাথে জীবাণুনাশক দিতে হবে।
৬।লিটার ভিজা বা দলা পাকানো আছে কিনা দেখতে হবে যদি থাকে তাহলে লিটার চালতে হবে বা নতুন লিটার দিতে হবে এমন কি চুন দেয়া লাগতে পারে
প্রতিদিন লিটার উলটে পালটে দেয় কিনা তবে তা খাবার ও পানির দেয়ার আগে করতে হবে,সকালে ও রাতে বা শুধু সকালে
৭।খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার কিনা,পানির পাত্র দিনে ২বার অবশ্যই পরিস্কার করতে হবে ১বার ব্লিচিং পাউডার আরেক বার সাদা পানি দিয়ে করা ভএল।
৮।পানির পাত্রে ফুটো /লিক আছে কিনা দেখতে হবে
খাবার ও পানির পাত্র পর্যাপ্ত আছে কিনা এবং সঠিক উচ্চতায় আছে কিনা ব্রয়লারের ক্ষেত্রে খাবার পাত্র ক্রপ বরাবর আর পানির পাত্র পিঠ বরাবর করা উচিত।
৯।পানিতে জীবাণূ নাশক দেয়ার ক্ষেত্রে কন্টাক টাইম মেনে চলে কিনা,পানিতে জীবাণু নাশক দেয়ার দেয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে তারপর মুরগিকে দিতে হবে প্রায় ২০-৩০ মিনিট পর দেয়া উচিত,ফিটকিরি হলে কয়েক ঘন্টা রেখে দিতে হয়।
১০।ফার্মে আলো বাতাস ঠিক মতে পড়ে কিনা দেখতে হবে.
১১।কত দিনের খাবার আনা হয়েছে এবং কতদিন পর শেষ হবে তা জানা উচিত
১২।নিজে বানানো লোজ ফিড ১-৩দিনের বেশি রাখা ঠিক না
কোম্পানীর ফিড শীতকালে ১০দিন আর গরম কালে ৭দিনের বেশি আনা ঠিক না
১৩।বয়স অনুযায়ী ওজন ও খাবার ঠিক আছে কিনা এবং সে অনুযায়ী জায়গা দেয়া হয়েছে কিনা
১৪।মুরগির পায়খানার কালার,গঠন ও ঘনত্ব ঠিক আছে কিনা
১৫। প্রতি সপ্তাহে মিনিমাম ১% মুরগির ওজন নিতে হবে
১৬।প্রতিবার খামার পরিদর্শনে গেলে ফিড স্টোর রুম দেখতে হবে।আলো বাতাস ঢুকে কিনা,কি পরিমাণ খাবার আছে তা দেখতে হবে
মেডিসিন ও জীবাণু নাশকের স্টক দেখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মেডিসিন এর অর্ডার দিতে হবে
১৭।মেডিসিনের ডোজ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে
১৮।রেকর্ড কিপিং দেখতে হবে সেখানে প্রতিনের কাজ লিখে রাখে কিনা
ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে এফ সি আর বের করতে হবে
১৯।মুরগির বিক্রির পর লাভ লসের হিসাব করতে হবে
২০।বাচ্চা তোলার আগে খাবার ও পানির পাত্র,পর্দা,নেট,ব্রুডার,বাল্ব,লিটার।পাত্রের নিচে দেয়ার জন্য কাঠ,ইট বা স্ট্যান্ড পরিস্কার করে রাখা আছে কিনা
২১।মুরগির স্টান্ডার্ড খাবার,পানি,ওজন,প্রডাকশন জানতে হবে,কর্মচারী ছুটি দিয়ে দেখতে হবে ডিম বাড়ে কিনা।
২২।এক্টা ট্রেইনিং নিয়ে রাখা ভাল এতে ফার্ম পরিচালনা করতে সহজ হবে।