এক দিন বয়সী লেয়ার বাচ্চার সঠিক সরবরাহকারী নির্বাচন

865

লেয়ার
লেয়ার বাচ্চার জন্য সঠিক লেয়ার পালন হল একটি লম্বা যাত্রার মত; আজকে যে বাচ্চাটি খামারে আসলো তা আগামী ৭৭ সপ্তাহ খামারীর তত্বাবধনে লালিতপালিত হয়ে পরিনামে খামারীকে আর্থিকভাবে লাভ্বান করবে। ব্রয়লার যেমন দ্রুত সময়ে খামার থেকে বিদায় নেয় সেখানে লালনপালনে সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি হলে স্বল্পসময়ে বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে দামের উঠানামার কারন ছাড়া অন্য বিষয়ে তেমন লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু লেয়ার মুরগীর বেলায় ঠিক তার উল্টো এখানে ১-১৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চার বেড়ে ওঠা, সপ্তাহ অনুসারে সঠিক দৈহিক ওজন অর্জন করা, ভাইরাসজনিত রোগ থেকে খামারকে মুক্তরাখা, অলোকে ব্যাস্থাপনা, সঠিকভাবে ঠোঁটকাটা, মাইকোপ্লাজমা নিয়ন্ত্রণ, একটি এলাকা উপয়োগী কর্যকারী ভ্যাকসিন শিডিউল অনুসরণ করা লাভলোকসানের জন্য প্রধান নিয়ামক হয়ে দাড়াঁয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে লাভের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে আসে ভাল উন্নতমানের একদিন বয়সী লেয়ার বাচ্চার কথা। দেশে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বড় হ্যাচারী মানসম্পন্ন লেয়ার বাচ্চা উৎপাদন করে। সে জন্য ব্রয়লার বাচ্চার মত খামারীদের তেমন একটা অপশন থাকেনা বাচ্চা ক্রয় করার ক্ষেত্রে নিজস্ব পছন্দের। সাথে আছে মাঝে মাঝে একদিন বয়সী বাচ্চার সংকট এবং লাগামহীন উচ্চ মূল্য । অনেকটা বাধ্য হয়েই খামারীরা ডিম উৎপাদনের শিডিউল ঠিক রাখার জণ্য হাতের কাছে স্বল্প সময়ে যে হ্যাচারীর বাচ্চা কিনুন না কেন নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে ওই হ্যূাচারী সম্পর্কে এবং তাদের সরবরাহ করা বাচ্চা চেনা পরিচিত খামারে কেমন প্রোডাকশন দিচ্ছে, মৃত্যুহার কেমন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন বিস্তারিত জেনে নিন।

যে হ্যাচারীর বাচ্চা ক্রয় করবেন বলে মনস্থির করেছেন সে হ্যাচারীর বাচ্চা ম্যারেক্স বা এভিয়ান লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তার তথ্যসংগ্রহ করুন। কানণ এ দুইটি রোগে লেয়ার মুরগী অক্রান্ত হলে খামারীর তেমন কিছু করার থাকে না এবং মুরগী ধীরে ধীরে অনেক দিন সময় নিয়ে ক্রমাগত মরার কারণে আক্রান্ত খামারী পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে যায়। জেনে নিন যে বাচ্চা আপনি কিনতে যাচ্ছেন তা প্যারেন্টের প্রথম দিকের বাচ্চা কিনা? এমন হলে বুঝে শুনে বাচ্চা কিনুন কারণ প্রথম হ্যাচগুলোর বাচ্চা ছোট ডিম থেকে ফুটার করণে স্বাভাবিক কারণে ছোট হয়। এই সকল বাচ্চা খুব একটা ভাল ফলাফল দিয়েছে বলে তথ্য নাই। পাশাপাশি শীতকাল হলে ব্রুডিং কালেই এই সকল বাচ্চার উচ্চহারে মৃত্যু হয় এবং বেঁচে থাকা বাচ্চা গ্রোয়িং পিরিয়ডে টার্গেট ওজন লাভ না করার কারণে কখনোই ভাল ডিম দেয় না। বাচ্চার নাভি কাঁচা কিনা চেক করে নিন, বাচ্চা ডিহাইড্রেটেট অথবা অন্য কোন অসামঞ্জস্যতা আছে কিনা ভার্লোভাবে দেখে নিন। বাচ্চাতে হ্যাচারি থেকে ম্যারেক্স ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে কিনা জেনে নিন, কোন কোম্পানীর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে নিজ উদ্যোগে তথ্য নিন এবং ১৮-১৯ দিন বয়সে ম্যারেক্সের বুস্টার ডোজ দিতে হবে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। “অঞ্জন মুজমদার”