রাঙামাটি সংবাদদাতা: দীর্ঘ তিন মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান আসাদ এ তথ্য জানান।
রাঙামাটি জেলা বিএফডিসি সূত্রে জানান, গত ১ মে দেশের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩ মাসের জন্য হ্রদ হতে সব প্রকার মৎস্য আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এরপর টানা তিন মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে জেলেরা। তবে বন্ধকালীন কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত কার্প ও সিলভার কার্প জাতীয় মাছের পোনাঅবমুক্ত করা হয়।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে মাছ বাজারজাত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত মৎস্য ব্যবসায়ীরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ট্টাক, বরফ ও শ্রমিক।
রাঙামাটি ফিসারির মৎস্য ব্যবসায়ী উদায়ন বড়ুয়া জানান, তিন মাস পর আবারও প্রাণাঞ্চল হয়ে এঠেছে ফিসারি ঘাট এলাকা। বেকার শ্রমিকরা আবারও কর্ম ফিরে পেয়েছে। সবাই মাছের অপেক্ষায় আছে। কাপ্তাই হ্রদ থেকে জেলের আহরিত মাছ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বাজারজাত করা হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। আশা করি এ বছরও কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার আহরণ হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান আসাদ জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মাছের উৎপাদন বাড়াতে বছরের সব ঋতু ও মৌসুমে ৯ ইঞ্চি সাইজের পর্যন্ত পোনা মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বুধবার মধ্যরাত ১২টা থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হবে। তবে তা রাঙামাটি ফিসারি থেকে ব্যাণিজিকভাবে ভোর ৫টা থেকে বাজারজাত হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন