কুমিল্লায় উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প এর আঞ্চলিক কর্মশালা

194

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কুমিল্লা অঞ্চলের ব‌্যবস্থাপনায়, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ‌্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আর্থিক সহযোগীতায়, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে ১৮/১১/২০২৩ তারিখে আঞ্চলিক কর্মশালা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। দেশের খাদ‌্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা যেন আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া কর্মশালার উদ্দেশ‌্য।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব‌্য রাখেন, ডিএই, সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের খাদ‌্য নিরাপত্তার অন‌্যতম খাবার হলো ভাত। তাই ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে  আমন ধানের উৎপাদন গুরুত্বের সাথে নজর দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। স্বল্পজীবনকালীন ফসলের চাষ বাস্তবায়ন করে, ধান ও সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। সরিষার চাষ বৃদ্ধি পেলে ভোজ‌্য তেলের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশের মানুষকে নিরোগ রাখা সম্ভব হবে। সরকারী সহযোগীতায় আগামী বোরো মৌসুমের জন‌্য ৪০ হাজার হেক্টর জমির লক্ষমাত্রা হিসেবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশের বিশাল জনগোষ্টির খাদ‌্য ও পুষ্টি চাহিদা মিটানোর জন‌্য পুরোনো জাত যেমন ব্রি ধান২৮ এবং ব্রি ধান২৯ চাষ করলে বিভিন্ন রোগ ও পোকা মাকেড়ের আক্রমন বেশী হয়। এসব জাতের পরিবর্তে পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং অধিক ফলনশীল জাত বিনাধান-২৫, ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান১০৫ চাষ করার জন‌্য কৃষকদের উৎসাহিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন কৃষকদের আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন‌্য আমাদের সকলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। কৃষক তার কৃষি পণ‌্য বিক্রি করে লাভবান হলে প্রতি বছরই আগ্রহের সাথে বিভিন্ন ফসলের চাষ করার মধ‌্যদিয়ে বাংলাদেশের আত্মসামাজিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। একসময় মাঠে একই জমিতে ধানের নানা জাতের মিশ্রণের ফলে জমিতে ধানের কয়েকটি স্তর দেখা যেত, স্থানীয়ভাবে আমরা এ বিষয়টিকে একতালা, দোতালা বলতাম। এর ফলে ধানের ফলন কমে যেতো। আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে একটি জমিতে সকল ধানের গাছ সমানভাবে দেখা যায় এবং এক সঙ্গে পরিপক্ক হয় এবং সহজে ফসল সংগ্রহ করা যায়। সরকারের সেকসই পরিকল্পনার ফলে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ‌্যমে বর্তমানে পুরো দেশে ২০-২৫% জমিতে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হয়। যার কারনে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন‌্য আমাদের কৃষি কার্যক্রমকেও স্মার্ট করতে হবে।  কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ডিএই, ক্রপ্স উইং এর পরিচালক, ড. মোহিত কুমার দে। প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, উপপ্রকল্প পরিচালক, কৃষিবিদ মোঃ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথির বক্তব‌্য  রাখেন, ডিএই, কুমিল্লা জেলার উপপরিচালক, কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ ; হর্টিকালচার সেন্টার, কুমিল্লার উপপরিচালক, কৃষিবিদ মোঃ আমজাদ হোসেন; ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চলের সংস্থাপন ও উন্নয়ন শাখার উপপরিচালক, কৃষিবিদ শাহনাজ রহমান। ডিএই, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ি, চাঁদপুর জেলার উপপরিচালকগণ নিজ নিজ জেলার কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্টের মাধ‌্যমে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার ড. মোঃ আমানুল ইসলাম।