কুমিল্লায় নেরিকা-১০ রুপান্তর করে উন্নত জাত বিনাধান-১৯ এর বাম্পার ফলন

335

মাঠ-দিবসস01

ধান চাষে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য খরা সহিষ্ণু আউশ ও আমন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য সরকার আফ্রিকা রাইস সেন্টার হতে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খরা সহিষ্ণু ধানের জাত আমদানি করে। এগুলোকে রেডিয়েশন প্রয়োগ ছাড়াও সরাসরি পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সহায়তায় জাপান এটমিক এনার্জি এজেন্সি থেকে নেরিকা-১০ ধানের বীজে ৪০ গ্রে মাত্রার কার্বন আয়ন রশ্মি প্রয়োগ করে উদ্ভাবন করা হয় বিনাধান-১৯।

এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত “পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উন্নয়ন কর্মসূচি’’ এর অর্থায়নে গত ৩০ জুলাই বরুড়া চন্ডিমুড়া ব্লকে কৃষক মো. আব্দুল মতিনের জমিতে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের পরামর্শে, বিনাধান-১৯ জাতের ধান প্রদর্শনী হিসেবে চাষ করা হয়। সকল কৃষকদের বিনাধান-১৯ এর গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

বিনাধান-১৯ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।

সভাপতিত্ত্ব করেন-সিফাতে রাব্বানা খানম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ মো. আসিফ ইকবাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য কর্মকর্তা, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বরুড়া, কুমিল্লা।

মাঠ-দিবিস

স্বাগত বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ আব্দুর রাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা। কৃষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- আব্দুল মতিন। তিনি বলেন-আমার জমিতে বিনাধান হেক্টরে ৪.৭৬ হয়েছে। আমি বাম্পার ফলন পেয়েছি। এধান চিকন এবং দেখতে আকর্ষণীয়। আশা করি এর বাজার মূলও বেশি পাবো। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সংবাদদাতা: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন