আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় তোড়জোড় শুরু হয়েছে গবাদিপশু খামারিদের। ভালো দামের আশায় বাকি দিনগুলো পরম যত্নে লালন-পালন করছেন তারা। তবে পশুর খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে গরু-ছাগলের উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। খাবারের দাম বৃদ্ধির ফলে কিছুটা লাভের ঘাটতি দেখছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। জেলায় ছোট-বড় খামার ছাড়াও বাসাবাড়িতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানির পশু।
এবার জেলায় প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার বেশি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুতকরণের কাজ নিরলসভাবে করে চলেছেন খামারিরা। জেলার খামারিগুলোয় চলছে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণের কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় খামারিরা। এরই মধ্যে জেলার পশুহাটগুলোয় কিছুটা কোরবানির পশু কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এবারও নানা আকৃতির বড় গরুগুলোর বাহারি নাম নজর কেড়েছে সবার।
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার কুষ্টিয়া জেলায় ১৭ হাজার ৫৯০টি খামারে এক লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৮টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মধ্যে গরু রয়েছে ৯৭ হাজার ৮০১টি, ছাগল ও ভেড়া ৭৮ হাজার ৬৭৬টি এবং মহিষ এক হাজার ৩০১টি।
কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য বেশ আদর-যত্নে রাজাবাবুকে প্রস্তুত করেছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মোকাররমপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের খামারি শারমিন আক্তার ইতি। ইতি ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী শাহাবুল ইসলাম সান্টুর স্ত্রী। গড়ে প্রতিদিন ৬০০ টাকার খাবার লাগে রাজাবাবুর। গরুটিকে দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করছে।
খামারি শারমিন আক্তার ইতি বলেন, সন্তানের মতো লালন-পালন করে এবার কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি, দাম চাচ্ছি আট লাখ টাকা।
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় প্রায় এক লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। বিভিন্ন খামারে বড় বড় গরু আছে। কোরবানি উপলক্ষে খামারিদের সঙ্গে আমরা সব সময় যোগাযোগ রাখছি। সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা বেশি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা রয়েছে। আশা করছি, এবারের চেয়ে আগামী কোরবানির ঈদে আরও বেশি গবাদিপশু কোরবানির জন্য খামারিরা পালন করবেন।