কিশোরগঞ্জের বিল্লালের খামারে এখন ৪৮ গরু

137

ভালোলাগা থেকে গরু লালনপালন শুরু করেন বিল্লাল হোসেন। দুই গরু থেকে এখন তার খামারে ৪৮টি ষাঁড় ও গাভী আছে। এবারের কোরবানি ঈদে ১০টি ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। কয়েকদিন পারল হলেও বাজারেও তুলতে পারেন গরুগুলো।

বিল্লাল হোসেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ খামারি বলেন, গরুর প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা আছে। গরু কথা বলতে পারে না কিন্তু মানুষের মতো কথা শোনে। দুবছর আগে বাড়ির পাশের পতিত ১০ শতক জমিতে মাটি ভরাট করে ঘর তৈরি করি। প্রথমে দুটি গরু কিনে সেখানে লালনপালন শুরু করি। এখন শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৪৮টি গরু আছে। খামারের নাম দেই বিলাশিনগর ডেইরি ফার্ম।

বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, কোরবানির জন্য বিক্রিযোগ্য ১০টি গরু আছে। ১৮ লাখ টাকা দরদাম হচ্ছে। যা বিক্রি করতে পারবো তার অর্ধেকই লাভ হবে। ১১টি গাভী আছে। এর মধ্যে ৯টি দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন ৬০-৭০ লিটার দুধ বিক্রি করতে পারি। আমার খামারে গরুকে নিজের জমির কাঁচা ঘাস, খড়, ভুসি, ভুট্টার আটা ও চালের খুদ খাওয়ানো হয়। খামারের গরুদেরকে পাকুন্দিয়া পশু হাসপাতালের সহায়তা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যুবকদের আমি বলবো ৫ বা ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশ না গিয়ে দেশেই পরিশ্রম করে গরু লালনপালন করলে ভালো লাভবান হওয়া যাবে। আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন আমি খামারে চলে আসি। গরুকে খাবার দেওয়া ও দেখাশোনা করলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। খামার করে শুধু আমি লাভবান হচ্ছি এমটি নয়, এখানে তিনজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। এখানকার বেতন দিয়ে তাদের পরিবার চলছে।

খামারির ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, খামারে আমিই বেশি সময় দেই। ৫০-৬০ হাজার টাকায় গরুগুলো কেনা হয়েছিল। এগুলো ১ লাখ বা কিছু বেশি দরদাম হচ্ছে। তবে একটি গরু ১ লাখে কেনা হয়েছিল। আড়াই লাখ টাকা দাম বলে গেছে ব্যাপারীরা।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, পশু খামার বা ডেইরি ফার্মগুলোর ব্যাপারে সবসময় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানরা খোঁজ নিচ্ছে। খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ছাড়া বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। নিরাপদ পশু উৎপাদনই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এজন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।