কুষ্টিয়ার মিরপুরের সফল সবজি চাষি সৈয়দ আলী

656

kushtia-krishi-pic-lau

এসএস জামাল, কুষ্টিয়া থেকে: সবজি চাষ করে শুধু সফল চাষি নয়, দারিদ্র্যকেও জয় করেছেন সৈয়দ আলী। বাবার কাছ থেকে পাওয়া সামান্য জমির আয় দিয়েই তিনি এখন মালিক হয়েছেন ৫ বিঘা জমির। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলী। ছিলেন ইউপি সদস্য।

তিনি জানান, ইউপি সদস্য থাকাকালীন নিজের সামান্য জমিতে প্রথমে লাউ চাষ শুরু করি ৫ বছর আগে। এতে ভালো লাভ হয়। এরপর ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মরিচ, পেপে, ঢেড়শসহ নানা ধরনের শাক-সবজি চাষ করতে থাকি। এখান থেকে সবজি চাষের নেশায় পড়ে যাই। নিজের সামান্য জমির সঙ্গে বর্গা জমিতে সবজি চাষ করি। যে মৌসুমে যে সবজির চাষ হয় সেটি করে থাকি।

বর্তমানে ২০ শতাংশ জমির অর্ধেকে কাঁচামরিচ, দেড় বিঘা জমিতে বেগুন, ১০ কাঠা জমিতে শসা এবং দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে ৭হাজার টাকা খারচ করেছেন লাউচাষে। বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন বলে জানান সৈয়দ আলী। একদিন পর পর শ খানেক লাউ বাজারে বিক্রি করেন। পাইকারী হিসেবে প্রতিটি লাউ বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা সাইজ অনুযায়ী। সামনের একমাসে আরো কয়েক হাজার পিস লাউ বিক্রি করবেন বলে আশা করেছেন তিনি। লাউ চাষে খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষের সার্বিক নিদের্শনায় এবং ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধায়নে এলাকার একজন সফল সবজি চাষির খেতাব অর্জন করেছেন ইতিমধ্যেই। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপকরণ, পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এম সাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুষ্টিয়ায় ব্যাপক সবজির চাষ হয়ে থাকে। গুণাগুণ বিবেচনায় মাটি সবজি চাষে উপযোগী হওয়ায় উৎপাদনও ভাল হয়। সবজি চাষে কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সরকারিভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ৃন:

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম