সরকারের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমে বিদেশি জাতের বীজ দেশীয় জাতের গরুতে সংকরায়নের ফলে দেশীয় জাতের গরুতে কৌলিকমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
# গরুর প্রজননে উৎপাদিত সংকরজাত অন্যান্য জাতের সাথে প্রজননের ফলে উৎপাদিত দেশীয় জাতের গরুর সাথে ফ্রিজিয়ান জাতের সংকর খুবই ভালো হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।
# জার্সি জাতের গরুর সাথে দেশীয় জাতের সংকরায়নের হার খুবই কম। তবে, তাদের দুধ উৎপাদন এবং পূনরুৎপাদন ক্ষমতা ভালো।
কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের সমস্যাসমূহ:
# কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সন্তোষজনক। প্রজনন ষাঁড়ের প্রাপ্যতা, ষাঁড় ব্যবস্থাপনার সুযোগ-সুবিধা, আধুনিক বীজ মূল্যায়ণ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা, শুধু কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান এবং মাঠ পর্যায়ে ল্যাবরেটরিতে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে।
# ভালো মাইক্রোস্কপ, বিদ্যুৎ এবং অনান্য সমস্যার কারণে সাব সেন্টারে কৃত্রিম প্রজনন বীজের গুনাগুন পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না।
# কৃত্রিম প্রজনন প্রচার খুবই সীমিত।
# জেনারেশন বৃদ্ধির সাথে সাথে ৫০% অথবা তদুর্ধ্ব বিদেশি রক্ত সম্বলিত সংকর জাতের গরুর দুধ উৎপাদন এবং পুনরুৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়।
# কৃত্রিম প্রজননের সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতি নির্দিষ্ট না থাকায় প্রজনন কার্যক্রম হচ্ছে।
প্রতিকার:
# অঞ্চল বিশেষে স্থানীয় গরুর উন্ন্যনের জন্য ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়কে প্রজননের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# ভালো কৌলিকমান গুণসম্পন্ন দেশি X ফ্রিজিয়ান এবং শাহিওয়াল X ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় পৌর, গ্রামীণ এবং মিল্ক পকেট এলাকায় যেখানে সংকর জাতের গরু পালার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# স্থানিয় গরুর উন্নয়ন এবং দুধ উৎপাদনের জন্য জার্সি জাতের গরু ব্যবহার করা যেতে পারে।
# সিমেন উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করা উচিত।
# তরলী সিমেন পরিবহণের ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণে এর পরিবর্তে তরল নাইট্রোজেন স্ট্র সিমেনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কৃত্রিম প্রজনন করার পূর্বে অবশ্যই সিমেনের গুনগতমান ঠিক আছে কিনা তাহা, পরীক্ষা করে নেয়া প্রয়োজন।
# প্রত্যেক এলাকায় সিমেন সরবরাহ নিয়মিতভাবে করা উচিৎ।
# কৃত্রিম প্রজনন এবং এর উর্বরতা বৃদ্ধির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন।
প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলাফল ও লাভ:
প্রযুক্তিটিতে দেশের দুগ্ধ খামারীরা কোন জাতের গরু ও সংকর ষাঁড় ব্যবহার করবেন তার দিকনির্দেশনা পাবেন। প্রযুক্তিটির যথোপযুক্ত ব্যবহারের ফলে দেশীয় জাতের গরুর কৌলিক মান বৃদ্ধি পাবে এবং দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে। গুড়ো দুধ আমদানি কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
পরিবেশের ওপর প্রতিক্রিয়া:
এই প্রযুক্তিটির ব্যবহার পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে না। তবে, এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিৎ তা না হলে দেশীয় ভালো জাত নষ্ট হয়ে যাবে। ‘বিএলআরআই’
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম