ঢাকা : কৃষি বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতির জন্য আগামী বছরের এপ্রিল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। এজন্য কৃষি শুমারির প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ লক্ষ্যে জোন (এলাকা ভাগ) গঠন করা হয়েছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস ভবনে কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮ এর প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডের ওপর আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে জোন গঠনের কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।
কর্মশালায় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ও অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি শুমারি-২০১৮ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আহাম্মদ খান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে কৃষি শুমারির পটভুমি, উদ্দেশ্য, শুমারির পরিধি, প্রশ্নপত্রের ধরণ এবং প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ। দেশের অর্ধেক এলাকাব্যাপী এটি চলবে এক মাস। এর পর দ্বিতীয় ধাপে আরো একমাস অন্য এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দেশের সকল খানা ও কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এ শুমারির মাধ্যমে শস্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদসহ পোল্ট্রি সাব-সেক্টরে ও বড় পরিসরে পর্যায়ক্রমিক পরিসংখ্যান তৈরি করা হবে। এছাড়া কৃষি খাতের কাঠামোগত পরিবর্তন সংক্রান্ত উপাত্ত, ভূমি ব্যবহার, চাষের প্রকার ও ফসল বৈচিত্রের পরিসংখ্যান, সেচ, কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত উপাত্ত থাকবে। দেশের সকল সাধারণ খানা (পরিবার) এবং কৃষি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক খানায় শুমারি পরিচালিত হবে। দেশের শহর ও পল্লী এলাকায় একই সঙ্গে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
শুমারি শেষে প্রত্যেক গণনাকারী গণনা বই থেকে একটি খানা তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকায় মোট পরিচালনাধীন জমির পরিমাণ,হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল ও মহিষ ইত্যাদির সংখ্যা এবং খানা মৎস্য চাষ ও মৎস্য শিকারে জড়িত কি না এ বিষয়ক তথ্য থাকবে। ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন